স্কুল প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর বৈদ্যুতিক পাখা পেল বিদ্যালয়, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের স্বস্তি
মুজাহিদুল ইসলাম সোহেল
স্কুল প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর শ্রেণিকক্ষে বৈদ্যুতিক পাখা পেয়েছেন নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বার ইউনিয়নে চর হাসান ভূঁইয়ার হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ফলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে পেয়েছে।
সোমবার দুপুরের স্কুল কমিটির সভাপতি ও ১নম্বর চরজব্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের জন্য দশটি ফ্যান উপহার দিয়েছেন।
নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসলিমা আক্তার বলেন, গরমে ক্লাস করতে আমাদের কষ্ট হয়।অনেক ছাত্র ছাত্রী গরমে অসুস্থ হয়ে যেত। শ্রেণি কক্ষে বৈদ্যুতিক পাখা লাগিয়ে গরম থেকে রেহায় পাব।
চর হাসান ভূঁইয়ার হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুন্নাহার বেগম বলেন, ‘ সুবর্ণচর উপজেলার দুর্গম চরে চর জব্বার ইউনিয়ন পরিষদের পশ্চিমে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর সীমানায় স্কুলটি স্থাপিত হওয়ার পর শ্রেণিকক্ষে কোন ধরনের বৈদ্যুতিক পাখা ছিলনা। শিক্ষকদের কক্ষ সোলার প্যানেল দিয়ে একটু আলোকসজ্জা থাকলেও শ্রেণিকক্ষে পাখা মোটেই ছিল না। চেয়ারম্যান সাহেব নির্বাচিত হওয়ার পর তাঁর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী স্কুলটিতে বিদ্যুৎ ও বৈদ্যুতিক পাখার ব্যবস্থা করে দেন। ফলে গরমের তাপদাহ থেকে শিক্ষার্থীরা স্বস্তি পাবে।
চরজব্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক জানান, চরজব্বার ইউনিয়ন একটি অবহেলিত ইউনিয়ন ছিল। উপজেলা সদর থেকে অনেক দূরে হওয়ায় এখানে যাতায়াতের ব্যবস্থা ছিল নাজুক। আমি বিভিন্ন দপ্তরে গিয়ে এমপি মহোদয়ের সহযোগিতায় রাস্তাঘাট পোল কালভার্টের কাজ এনেছি। চরজব্বর ইউনিয়নে ধারাবাহিকভাবে সবগুলো বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় বৈদ্যুতিক পাখা দেয়া হবে। প্রথম পর্যায়ে ১৫টি বিদ্যালয় ও ৫ টি মাদ্রাসায় ১০টি করে বৈদ্যুতিক পাখা দেয়া হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে ধারাবাহিকভাবে সবগুলো বিদ্যালয় পাবে। এবং এই ইউনিয়নে কোন কলেজ ছিল না। ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ালেখার জন্য ২৭ কিমি দূরে যেতে হত। অনেকেই এত দূরে যাওয়ার ভয়ে পড়ালেখা বন্ধ করে দিতেন। আমি ইউনিয়নের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব খলিল উল্লাহ মিয়ার নামে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছি। এই বছরে ৮৬ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে পাঠদান শুরু হয়েছে।
এ বিভাগের আরও খবর...