বাগেরহাট বাগেরহাটে টয়লেটের সেপটিক ট্যাংক থেকে ফিরোজা বেগম রুমা (৩৮) নামের নিখোঁজ এক গৃহবধূর গলিত মরদেহ এক সপ্তাহ পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকাল ৪টার দিকে বাগেরহাট উপজেলার দেওয়ানবাটি গ্রাম থেকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। পুলিশ এ ঘটনায় নিহতের স্বামী আলী হোসেন মোল্লা ওরফে প্রেম আলীকে (২৯) গ্রেফতার করেছে। পারিবারিক কলহের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে ঘাতক স্বামী। নিহত ফিরোজা বেগম দেওয়াবাটি গ্রামের গফুর মোল্লার মেয়ে। গ্রেফতার প্রেম আলী বাগেরহাট শহরের নাগেরবাজার এলাকার আজিজ মোল্লার ছেলে। আলী একা এই হত্যা করতে পারেনি দাবি করে রায়হান ব্যাপারি বলেন, আমার শ্বাশুরী অনেক মোটা। তাকে মেরে একা টয়েলেটের মধ্যে ঢুকানো সম্ভব না। আলীর সাথে অন্য কেউ আছে হয়ত। তদন্ত করে দেখার দাবি করেন তিনি। আলীর সাথে পরিচয় সম্পর্কে নিহতের চাচা বারিক মোল্লা বলেন, ফিরোজা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করতে গেছিল। তখন আলীর সাথে পরিচয় হয়। পরিচয়ের দুই-তিনদিনের মধ্যে তারা বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে ফিরোজাকে নিয়ে আমার ভাইয়ের বাড়িতেই থাকত আলী। বাগেরহাট সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম জানান, আলী হোসেন মোল্লা প্রেম আলী দেড় বছর আগে সদর উপজেলার দেওয়ানবাটি গ্রামের গফুর মোল্লার মেয়ে স্বামী পরিত্যক্তা ফিরোজা বেগম রুমাকে বিয়ে করে স্ত্রীর বাবার বাড়িতে বসবাস শুরু করে। পারিবারিক কলহের জের ধরে গত ২৯ জুলাই প্রেম আলী তার তৃতীয় স্ত্রী ফিরোজা বেগমকে হত্যা করে মরদেহ তার স্ত্রীর বাড়ির টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখে।