মাসুদ রানা,স্টাফ রিপোর্টার দিনাজপুরের খানসামায় স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে স্বামী আরাফাতের বাড়িতে অনশন এক গৃহবধূ। ওই গৃহবধূ বাড়িতে অবস্থান নিলে স্বামী আরাফাত বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকাল থেকে উপজেলার আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নের পাকেরহাটের মমতাজ মেম্বার পাড়ায় স্বামী আরাফাত ফেরদৌসের বাড়িতে অবস্থান নেন তিনি। আরাফাত ফেরদৌস ওই এলাকার তাহির উদ্দিনের ছেলে। জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করে। তিনি নওগাঁ জেলার সদর উপজেলার খাস নওগাঁ গ্রামের নরেশ মন্ডলের মেয়ে।
তিনি এর আগেও একটি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন। ৪ বছরের সংসার জীবনের টানেন ইতি। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় তাদের। এর এক পর্যায়ে সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে আদালতের মাধ্যমে মুসলিম ধর্ম গ্রহন করে বিয়ে করেন তিনি। বর্তমানে তাদের প্রায় ২ বছরের সংসার। এরই মধ্যে ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূর ৮ ভরি স্বর্ণালংকার ও ৩ লক্ষ টাকা নিয়ে স্বামী আরাফাত পালিয়ে যায়। এর এক পর্যায়ে একতরফা তালাকনামা পাঠিয়েছে স্বামী আরাফাত। আরো জানা যায়, স্বামী আরাফাত এর আগেও একাধিক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ জানান, আরাফাতের সঙ্গে আমার ২০১২ সাল থেকেই পরিচয়। এরপর প্রেম করি। ২০২৩ সালের ২৭শে সেপ্টেম্বর আমরা বিবাহ করি। আমরা ভাড়া বাসায় থাকি। সে ১০ দিন ধরে বাসায় নাই এবং খোঁজ পাচ্ছি না। তাই তাকে খুঁজতে তার গ্রামের বাড়িতে আসি। আমি তার সংসার করতে চাই। এদিকে স্বামী আরাফাত ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক থাকায় কোনোরকম যোগাযোগ করা যায়নি। স্থানীয়রা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এলাকার কম বেশি সব মানুষই তাদের বিয়ের বিষয়ে অবগত আছে। মেয়েটি যেহুতু ধর্ম ত্যাগ করে আসছে তাই আরাফাতের উচিত তাকে নিয়ে সংসার করা। এ বিষয়ে খানসামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমূল হক বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।