তিন সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে ভারতে গিয়েছিলেন বাংলাদেশি তরুণী দিলরুবা শারমীন রুম্পা। স্বপ্ন ছিল ভারতীয় প্রেমিকের সঙ্গে ঘর বাঁধার।
রোববার (১ অক্টোবর) সন্তানদেরসহ রুম্পার ফিরে যাওয়ার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের পুলিশ।
রুম্পার বাড়ি চট্টগ্রামে। অন্যদিকে তার ভারতীয় প্রেমিক আব্দুল করিমের (২৭) বাড়ি উত্তরপ্রদেশের শ্রাবস্তী জেলার রোশনগড় গ্রামে। আব্দুল করিম পেশায় একজন রাঁধুনি। তিনি শেফ হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ বাহরাইনের একটি হোটেলে কর্মরত।
জানা গেছে, করোনায় মারা যান রুম্পার স্বামী। অসহায় হয়ে পড়েন তিনি। ভুগছিলেন আর্থিক সমস্যাতেও। এমন অবস্থায় পার্লারে কাজ শুরু করেন। এরইমধ্যে ফেসবুকে পরিচয় হয় আব্দুল করিমের সঙ্গে। ধীরে ধীরে বন্ধুত্ব প্রেমের সম্পর্কের দিকে গড়ায়। এক পর্যায়ে দুজনেই সিদ্ধান্ত নেন বিয়ের। আর প্রেমিকের সঙ্গে বাকি জীবনটা কাটিয়ে দিতে গত ২৬ সেপ্টেম্বর নিয়ে ভ্রমণ ভিসায় পৌঁছান ভারতের লখনউতে। করিমও পৌঁছে যান সেখানে। নিজের গ্রামের বাসায় পৌঁছানোর আগে ওই চার বাংলাদেশিকে নিয়ে আব্দুল করিম দু’দিন অবস্থান করেন লখনউয়ের একটি হোটেলে।
রুম্পার অভিমত, তিনি জানতেন না আব্দুল করিম বিবাহিত। নিজেকে অবিবাহিতই জানিয়েছিলেন করিম। হোটেলে দুই রাত যাপনের পর আব্দুল করিম তাদের নিয়ে আসেন নিজের গ্রামের বাড়িতে। ঘরে ঢোকার আগেই সারা গ্রামে রটে যায় সেই খবর। স্বভাবতই বাংলাদেশি প্রেমিকাকে দেখেই মেজাজ হারান করিমের প্রথম স্ত্রী। রীতিমতো হট্টোগোল বাঁধিয়ে দেন। যা একসময় হাতাহাতিতে রূপ নেয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে গ্রামবাসী খবর দেয় স্থানীয় থানাকে।
রুম্পা এবং আব্দুল করিমের বিষয়ে কোনো অপ্রীতিকর বা অপরাধামূলক ঘটনা খুঁজে পাননি তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
কিন্তু এরই মধ্যে মন ভেঙে যায় রুম্পার। তিন সন্তানকে নিয়ে দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন তিনি। আব্দুল করিমও ফের ফিরে যাবেন মধ্যপ্রাচ্যে।