স্বভাব বদলায়নি, বদলেছে মাদক ব্যবসায়ী রাসেলের কৌশল
নারায়ণগঞ্ প্রতিনিধি।।নারায়নগঞ্জ জেলার সদর থানার মাসদাইর এলাকায় অবস্থিত বেগম রোকেয়া খন্দকার পৌর উচ্চ বিদ্যালয়ের ঠিক অপরপাশে ব্যাপকভাবে মাদক সেবনকারী ও মাদকের মূল ব্যবসায়ীদের আস্তানা গড়ে উঠেছে। মাদক ব্যবসা ও সেবনকারীদের জন্য চুরি,ছিনতাই ও ইভটিজিং সহ নানান রকম অভিযোগ উঠেছে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে। মাদকদ্রব্য সেবনে পুরাতন ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি নতুন নতুন শত ব্যবসায়ীর আগমন ঘটেছে এলাকায়। গোপনসূত্রে জানা যায়, পুরো মাসদাইর এলাকার মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করে থাকেন মাদক ব্যবসায়ী রাসেল ওরফে কসাই রাসেল। সরেজমিনে দেখা যায়, মাদক ব্যবসায়ী রাসেলের সেলসম্যানদের একাংশ বেগম রোকেয়া খন্দকার পৌর উচ্চ বিদ্যালয়ের অপরপাশের গলির একটি নতুন ৫ তালা বিল্ডিংয়ের নিচে বসে থাকতে ও বিল্ডিংয়ের উপরে বারান্দার কার্নিশে বসে থাকতে। কোন সাধারন জনতা অই গলিতে প্রবেশ করলেই তাদের “কয়টা কয়টা” বলে ডাকতে থাকে এই সেলসম্যানরা। আরো জানা যায়, মাদকের ডিলার রাসেলের ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন রাসেল। এছাড়া তার মাদক বিক্রি করে থাকেন ইমন,কবির। গত বছরের ১০ই আগস্ট দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানার মাসদাইর শহীদ সাব্বির আলম খন্দকার সড়কস্থ নুর ভিলা নামক একটি নির্মাণাধীন ভবনের নীচতলা থেকে মোঃ রাসেল কে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের নিকট থেকে ৪০০ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয় শহর ও শহরতলীর আলোচিত মাদক স্পট হিসেবে এক সময় সুপরিচিতি ছিলো ফতুল্লা থানাধীন মাসদাইর বাজার ও শেরে বাংলা এলাকার কয়েকটি মাদক স্পট। এলাকাবাসির দাবী বর্তমানে মাসদাইর, এলাকার একটা সুনাম আছে। পুনরায় মাদক ব্যাবসার কারনে তা নষ্ট করতে চান না তারা। আর মাদকের কারণে এলাকার যুব সমাজ যেভাবে নষ্ট হয়েছিলো তার পুনরাবৃত্তি চান না এলাকাবাসি। তাই মাসদাইর বাজারের আশপাশের স্থানীয় বাসিন্দাগণ পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হওয়া মাদক স্পটগুলো বন্ধে এবং মাদক ব্যবসায়ীদের দ্রুত গ্রেফতারে মাননীয় পুলিশ সুপার মহোদয়ের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ ব্যাপারে ফতুল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আযম মিয়া আমার নারায়ণগঞ্জকে জানান, ফতুল্লার কোন মাদক ব্যবসায়ী কে ছাড় দেয়া হবেনা। আমরা যেহেতু জানতে পেরেছি মাসদাইরের মাদক ব্যবসায়ীদের উপর যথাযথ ব্যবস্থা নিব।