স্থানীয় এলাকাবাসী মুমুর্ষ অবস্থায় গৃহবধূ সালমা বেগমকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। নিহত গৃহবধূ সালমা বেগম মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানার উত্তর ফুলদী এলাকার প্রতিবন্ধী রহম আলী মিয়ার মেয়ে।
বন্দরে স্বামী ও শাশুড়ী অমানবিক নির্যাতন সইতে না পেরে নেশা জাতীয় ট্যাবলেট সেবন করে ২ সন্তানের জননী সালমা (৩০) আত্মহত্যা করার খবর পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টায় বন্দর উপজেলার দাঁশেরগাও এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় শাহাবাগ থানা পুলিশ ঢামেক হাসপাতাল থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। আত্মহত্যার ঘটনার সংবাদ পেয়ে কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক কৃষ্ন পোদ্দারসহ সঙ্গীয় র্ফোস দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আত্মহত্যার ঘটনার প্ররোচনার অপরাধে স্বামী তাজুল ইসলাম (৩৮)কে আটক করেছে।
আটককৃত তাজুল ইসলাম বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের দাঁশেরগাও এলাকার মোতালিব মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় আত্মহননকারি গৃহবধূর পিতা রহম আলী বাদী হয়ে শুক্রবার বিকেলে বন্দর থানায় আটককৃত পাষান্ড স্বামী তাজুল ইসলাম ও শাশুড়ী হাজেরা বেগমকে আসামী করে আত্মহত্যা প্ররোচনায় ঘটনায় বন্দর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এ ব্যাপারে আত্মহননকারি গৃহবধূর পিতা রহম আলী জানান, গত ১৩ বছর পূর্বে আমার বড় মেয়ে সালাম বেগমকে নগদ ১লাখ টাকা ও ৮ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন যৌতুক দিয়ে বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের দাঁমেলগাও এলাকার মোতালিব মিয়ার ছেলে তাজুল ইসলামের সাথে বিয়ে দেই।
১৩ বছরের সংসার জীবনে তাদের সংসারে ১১ বছরের একটি কন্যা সন্তান ও ৬ বছরের একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। যৌতুক সহ নানা কারনে স্বামী তাজুল ইসলাম ও তার মা হাজেরা বেগম আমার মেয়েকে নানা ভাবে নির্যাতন করে আসছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে স্বামী ও শাশুড়ী মিলে আমার মেয়েকে বেদম ভাবে পিটিয়ে আহত করে। এ ক্ষোভে আমার মেয়ে নেশা জাতীয় ঔষধ সেবন করে আত্মহত্যা করে। এ ব্যাপারে থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনায় মামলা দায়ের হলে পুলিশ ওই মামলায় আটককৃত স্বামীকে শুক্রবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করেছে।