হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় পেশাগত দ্বায়িত্ব পালনকালে তিন সাংবাদিকের ওপর হামলায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে হবিগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটি।
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) রাতে হবিগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শেখ আব্দুল হাকিম ও সাধারণ সম্পাদক এম এ আর শায়েল এক যৌথ বিবৃতিতে এই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, এই ধরনের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হামলা স্বাধীন সাংবাদিকতায় চরম কুঠারাঘাতের সামিল। অবিলম্বে এই হামলার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছে রিপোর্টার্স ইউনিটি।
বুধবার বিকেলে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারী সেলিম আহমেদ ও তার লোকজন চুনারুঘাটের বনগাঁও এলাকায় তিন সাংবাদিকের ওপর হামলা করেন।
হামলার শিকার সাংবাদিকরা হলেন—এখন টিভির হবিগঞ্জ প্রতিনিধি কাজল সরকার, মাইটিভির জেলা প্রতিনিধি নিরঞ্জন গোস্বামী শুভ ও দেশ টিভির জেলা প্রতিনিধি আমীর আমজা।
এখন টিভির কাজল সরকার জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অপরাধে সেলিম আহমেদকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আফিয়া আমিন পাপ্পা এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
কাজল সরকার আরও জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানার সংবাদ সংগ্রহের পর তিনিসহ তিন সাংবাদিক মোটরসাইকেলে করে ফিরছিলেন। এ সময় বালু উত্তোলনকারী সেলিম আহমেদের লোকজন বনগাঁও এলাকায় তাদের ওপর হামলা চালায়। পরে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন সেখান থেকে সাংবাদিকদের উদ্ধার করেন।
হামলার শিকার সাংবাদিক নিরঞ্জন গোস্বামী শুভ ও আমীর আমজা চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং কাজল সরকার ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
হামলার দিন রাতে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে জরুরি সভা ডেকে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানান সাংবাদিকরা। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১১টায় এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছিল বলে জানা গেছে।