শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। এর আগে সকালে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে কমনওয়েলথ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের মানুষের কাছে নির্বাচন হলো উৎসব, গণতন্ত্রের উৎসব। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বরং তীব্র শীত উপেক্ষা করে জনগণ নির্বাচনকে স্বাগত জানিয়ে প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিয়েছে। নৌকার পক্ষে সারাদেশে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ২৮টি রাজনৈতিক দল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে এবং ২৯৯ আসনে মোট প্রার্থী আছেন ১ হাজার ৯৭০ জন। যার মধ্যে ৪৩৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিদেশি পর্যবেক্ষক দেখে উৎসাহবোধ করছে জানিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ইতোমধ্যেই অনেক বিদেশি সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষক এসেছেন। তা দেখে আমরা উৎসাহিত। তারা একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সচক্ষে পর্যবেক্ষণ করবেন। আমরা আশা করবো অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং তার সঠিক চিত্র তারা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরবেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানুষ নির্ভয় ভোট দেবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ৭ জানুয়ারি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেওয়া হবে। সবাই ভোট কেন্দ্রে আসবে। তারা নির্ভয় ভোট দেবে। ভোট দিতে কেউ বাধা দিলে তাদের প্রতিহত করা হবে।
নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে তিনি বলেন, নির্বাচনে যে বা যারাই বাধা দেবে যুক্তরাষ্ট্র তাদের নিষেধাজ্ঞাদেবে বলেছিল। কিন্তু বিএনপি প্রকাশ্যে নির্বাচনে বাধা দিচ্ছে, হরতাল দিচ্ছে। সেক্ষেত্রে কেনো যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির বিরুদ্ধে ভিসানীতি প্রয়োগ করছে না। সেটা আমাদের মনে প্রশ্ন জাগায়!
নির্বাচনের দিন বিএনপির ডাকা হরতাল-অবরোধ নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, হরতাল এখন বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি মরচে ধরা হাতিয়ার। হরতাল ও অবরোধ এখন বিএনপির কর্মসূচিতে আছে বাস্তবে নেই।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, অর্থবিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কবি কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী এবং আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান উপস্থিত ছিলেন।