ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে ভুয়া সহকারী কমিশনার ভূমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (এসিল্যান্ড) পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ইটভাটায় চাঁদাবাজি করেছে একটি প্রতারকচক্র।সম্প্রতি উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামে এনবি আর বি ইট ভাটায় এই ঘটনা ঘটে। বুধবার (১৬ আগষ্ট) বিকাল ৫ ঘটিকায় ফলসী ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশের মোবাইল ফোনে 01606-309009 এই নম্বরে থেকে ফোন দিয়ে বলে হ্যালো আমি এসিল্যান্ড বলছি। আপনি কি গ্রাম পুলিশ? আপনি খুব দ্রুত বোয়ালিয়া ইট ভাটাতে যান। পরে গ্রাম পুলিশ ইটভাটাতে গিয়ে ভাটার মালিকের সাথে কথা বলেন, ভাই, এসিল্যান্ড স্যার আপনার সাথে কথা বলবে। ভাটার মালিক পরে আমার কাছ থেকে ফোন নম্বর নেই। আমি বিশ্বাস করে ঐ তথাকথিত এসিল্যান্ড এর ফোন নম্বর দিয়ে আসি।এরপরের ঘটনা আমার আর কিছুই জানা নেই বলে জানান, গ্রাম পুলিশ বাসুদেব দাস। এ ঘটনায় ইটভারার ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এদিকে উপজেলার ফলসী উনিয়নের গ্রাম পুলিশ শিতল চন্দ্র দাসের ছেলে বাসুদেব দাস সাংবাদিকদের জানান,ভাই আমরা গ্রাম পুলিশের চাকরী করি আমাদের যখন উর্ধবতন অফিসার ফোন দিলে আপরা দ্রুত তা পালন করার চেষ্টা করি। আমি এখানে প্রতারকের খপ্পরে পড়েছিলাম। আমি এঘটনায় এখন চরম আতঙ্কে আছি। ভূক্তভোগী ইট ভাটার বর্তমান মালিক হাসমত আলী বলেন,আমি চকিদারের কাছ থেকে ফোন নম্বর নিয়ে কথা বললে তিনি হরিণাকুণ্ডু’র এসিল্যান্ড পরিচয়ে বলে আপনার ভাটাতে অনেক সমস্যা আছে। এখনই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করবো। আপনি বাঁচতে চাইলে এখনই 01810-915291 মোবাইল ব্যাংকিং (নগদ) এ ২৫ হাজার টাকা পাঠান। আমি ভয়ে আতঙ্কে কোনও কিছু বুঝে উঠার আগেই ২ টা মোবাইল ব্যাংকিং (নগদ) এ মোট ২৩ হাজার টাকা পাঠাইলাম।কিছুক্ষণ পরে আমি যাচাই করতে হরিণাকুণ্ডু এসিল্যান্ড অফিসে আসলে ঘটনার বিবরণ তুলে ধরলে তাঁরা ঘটনাটি যাচায়পূর্বক বলেন এটা আমাদের অফিসের কেউ নয়। আপনি দ্রুত পুলিশের নিকট যান। আমি ঐ প্রতারক ভূয়া এসিল্যান্ড এর দ্রুত গ্রেপ্তার দাবী করছি বলেও জানান ঐ ভুক্তভোগী ভাটা মালিক। এ ব্যাপারে হরিণাকুন্ডু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবু আজিফ জানান, ভুক্তভোগী প্রতারিত হয়ে (১৭ আগষ্ট) বৃহস্পতিবার থানায় এসে একটি অভিযোগ দিয়েছে। আমরা অভিযোগটি আমলে নিয়েছি। বিষটি তদন্তপূর্বক জড়িত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।