নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি।।
"নারায়ণগঞ্জে সন্তান হারালেন কা'রা'বন্দি বাপ্পী — হাত'কড়া পরেই কাঁ'ধে তুললেন নিজের সন্তানের লা*শ" নারায়ণগঞ্জের বন্দরের নবীগঞ্জ এলাকার তরুণ বাপ্পী — যিনি দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়ভাবে ন্যা*য়বি*চার ও সমতার পক্ষে কণ্ঠ তুলে আসছিলেন, আজ তিনি এক মর্মান্তিক ট্র্যা'জেডির নায়ক। বন্দর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে ভালোবাসতেন, সেটাই তার ‘অ*পরাধ’। কোনো রাজনৈতিক দলের পদপদবী না থাকা সত্ত্বেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাধিক মা*মলার আ*সামি তিনি। বর্তমানে তিনি নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক রয়েছেন। ছয় মাস আগে আল্লাহ তায়ালা বাপ্পীর ঘরে এক পুত্রসন্তান দান করেন। জন্মের পর থেকেই শিশুটি হা'র্টের ছিদ্রজনিত জটিলতায় ভুগছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায়ও পরিবার আশায় ছিল,
একদিন সুস্থ হয়ে উঠবে ছোট্ট রাজপুত্রটি। কিন্তু ভাগ্য যেন তাদের প্রতি নির্মম—গতকাল (রবিবার) সকালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে শিশুটি। এই হৃ'দয়বিদারক খবরে ভেঙে পড়ে বাপ্পীর পরিবার। শিশুর দা'ফনের সময় এক ঘন্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি মেলে বাপ্পীর। কিন্তু সেটাও হলো অমানবিক শর্তে—হাতকড়া পরেই বাবাকে দেখতে হলো নিজের সন্তানের নি'থ'র দেহ, আর নিজ কাঁধে নিতে হলো সেই লা*শ। এমন দৃশ্য দেখে উপস্থিত সংবাদকর্মী, এলাকাবাসী ও আত্মীয়স্বজনদের চোখে জল আটকে রাখা যায়নি। একজন বাবার এই য*ন্ত্র*ণার দৃ'শ্য যেন পুরো নবীগঞ্জকে কাঁ*দিয়েছে। সবাই বলছে—"রাজনীতি যাই হোক, বাবা তো বাবা। সন্তানের লা*শ কাঁধে নেওয়ার চেয়ে বড় শা'স্তি পৃথিবীতে আর কিছু হতে পারে না।" এলাকাবাসীর দাবি, মা*নবিক কারণে যেন বাপ্পীর প্রতি ন্যায্য'তা প্র'দর্শন করা হয়। তারা বলেন, “ভালোবাসা কোনো অ*পরাধ নয়—একজন বাবার অ'শ্রু যেন অ'ন্তত ভ'বিষ্যতে কারও ভাগ্যে না জোটে।”