বৃহস্পতিবার ১৪ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ সকাল ১১:৩৯
শিরোনামঃ
Logo বিআরটিসি এবার চেসিস কিনে বাস বানাতে যাচ্ছে Logo নীলফামারীর জলঢাকা থানার আয়োজনে কমিউনিটি পুলিশিং মত বিনিময় সভা ও ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত। Logo চুপ করে থাকার উপকারিতা মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায় Logo বাংলাদেশ ব্যাংক অনলাইনে কর পরিশোধে ফি বা চার্জ বেঁধে দিল Logo যুবলীগের সভাপতি তিন মাসেরও বেশি সময় আত্মগোপনে থাকার পর বের হলেই গুরুতর কুপিয়ে জখম  Logo শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুই শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ,বিচারের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ Logo ঘুষের টাকার নিচ্ছেন এসআই ভিডিও ভাইরালের পর সাময়িক বরখাস্ত Logo চায়ের সঙ্গে একমুঠো শুকনো মুড়ি খেতে পারেন Logo বাংলাদেশ এবং থাইল্যান্ডের মধ্যে সর্বোচ্চ আদালতের সঙ্গে বিচারিক সহযোগিতার জন্য সূচনা Logo গলায় ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে দুই বাড়ি থেকে নগদ টাকাসহ ছয় ভরি স্বর্ণালংকার লুট

হায়রে পরকিয়া-শিশু সন্তান কে খুন করে পিতা।

nagarsangbad24
  • প্রকাশিত: নভেম্বর, ১৮, ২০২১, ১:০৮ পূর্বাহ্ণ
  • ১৬৪ ০৯ বার দেখা হয়েছে

       
 
  

নগর সংবাদ।। প্রতিবেশী লাইলি আক্তারের সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল কুমিল্লার দেবিদ্বারের ট্রাক্টরচালক আমির হোসেনের (২৫)। লাইলির সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলায় নিজের শিশুকন্যা ফাহিমাকে (৫) হত্যা করেন বাবা আমির হোসেন। পরকীয়া ও আপত্তিকর ঘটনা ধামাচাপা দিতেই লাইলির প্ররোচনায় নিজের সন্তানকে হত্যার পরিকল্পনা করে বাবা আমির হোসেন। এমনকি ফাহিমাকে হত্যার পর স্ত্রীকেও হত্যা কিংবা ডিভোর্স দিয়ে লাইলিকে নিয়ে সংসার শুরু করার পরিকল্পনা ছিল তার। মেয়েকে খুনের পর বাবা নিজেই নিখোঁজ সন্তানের সন্ধান চেয়ে এলাকায় মাইকিং করেন, বিভিন্ন স্থানে খোঁজা-খুঁজি করেন।

 

থানায় জিডি ও মামলা দায়ের করেন। পরে শিশু ফাহিমার বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধারের পর ব্যবহৃত বস্তার সূত্র ধরে বাবা আমির হোসেনসহ মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন ( র‌্যাব-১১)। গ্রেফতাররা হলেন- শিশুটির বাবা আমির হোসেন (২৫), রবিউল আউয়াল (১৯), রেজাউল ইসলাম ইমন (২২), মোসা. লাইলি আক্তার (৩০) ও সোহেল রানা (২৭)। বুধবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজার এলাকায় র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি স্বীকার করেছে উল্লেখ করে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ৭ নভেম্বর বিকেলে কুমিল্লার দেবিদ্বারে ৫ বছরের শিশু ফাহিমা আক্তার নিখোঁজ হয়। ফাহিমার বাবা আমির হোসেন দেবিদ্বার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। নিখোঁজ হওয়ার পর ভিকটিমের বাবা আমির ৭ ও ৮ নভেম্বর আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করে। এমনকি ৮ নভেম্বর ঝাড়-ফুঁক দিয়ে মেয়েকে খোঁজার জন্য একজন ফকির-কবিরাজকেও খবর দেয়। ১৪ নভেম্বর দেবিদ্বারের এলাহাবাদ ইউনিয়নের কাচিসাইর নজরুল মাস্টারের বাড়ির সামনে কালভার্টের নিচে থেকে নিহত ভিকটিমের বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

 

পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর ঘাতক বাবা আমির বাদী হয়ে দেবিদ্বার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ছায়া তদন্তের ধারাবাহিকতায় শিশুটির বাবাসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, নিহত ফাহিমার বাবা আমিরের সঙ্গে গ্রেফতার লাইলির পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। ৫ নভেম্বর লাইলি ও আমিরকে ফাহিমা আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে। এতে লাইলি ও আমির উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন এবং লাইলি এই বিষয়টি যেন কেউ জানতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আমিরকে চাপ দিতে থাকেন। লাইলির প্ররোচনায় ৬ নভেম্বর ঘাতক আমির অন্যান্য সহযোগীদের নিয়ে ফাহিমাকে হত্যার জন্য পরিকল্পনা করেন।

 

পরিকল্পনা অনুযায়ী হত্যা করার জন্য ধারালো ছুরি ও হত্যার পর মরদেহ লুকানোর জন্য দুইটি প্লাস্টিকের বস্তা সংগ্রহ করেন। পরে তারা ফাহিমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে ৭ নভেম্বর বিকেলে কৌশলে চকলেট কিনে দেওয়া ও বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে সোহেল রানার সিএনজিতে করে দেবিদ্বার পুরান বাজারের দক্ষিণে নদীর নির্জন স্থানে ফাহিমাকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে লাইলির উপস্থিতিতে আমির তার মেয়ে ফাহিমার মুখে চেপে ধরে রাখে ও সর্ব প্রথম নিজেই মেয়েকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে আমির। রবিউল ভিকটিমের পায়ে ছুরি দিয়ে আঘাত করে, রেজাউল ইসলাম ইমন ছুরি দিয়ে পায়ে ও শরীরে এলোপাথাড়ি আঘাত করে, সোহেল ছুরি দিয়ে ভিকটিমের পেছনে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে ক্ষত-বিক্ষত করে দেয়। পরে বাবা আমির নিজেই ফাহিমার গলায় চেপে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে।

 

পরে মেয়েটির মরদেহ প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে সিএনজিতে করে ইমনের গরুর ঘরে ড্রামে লুকিয়ে রাখে। ৯ নভেম্বর রাতে সোহেল রানার সিএনজিতে করে আমির, রবিউল, ইমন বস্তাবন্দি ফাহিমার মরদেহ দেবিদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ ইউনিয়নের কাচিসাইর কালভার্টের নিচে ডোবায় ফেলে দেয়। বস্তার সূত্রে বাবাসহ হত্যাকারীরা শনাক্তের বিষয়ে র‌্যাবের ওই কর্মকর্তা বলেন, ফাহিমাকে হত্যার পর গরুর খাবারের ২৫ কেজির একটি বস্তায় ভরে ডোবায় ফেলে দেওয়া হয়েছিল মরদেহটি। সেটিই প্রথম আমলে নেয় র‌্যার ও গোয়েন্দার সদস্যরা। বস্তার খোঁজে পার্শ্ববর্তী দুটি গরুর খামারে অভিযানে যায়। সেখানে ইমনের বাবার খামারে গিয়ে ২৫ কেজি গরুর খাবারের বস্তা দেখেন র‌্যাব সদস্যরা। এরপর ইমনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে হত্যার মূল রহস্য। এরপর একে একে গ্রেফতার করা হয় বাবা আমিরসহ বাকিদের।

এ বিভাগের আরও খবর...

পুরাতন খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭৩০  

Archive Calendar

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭৩০  
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | নগর সংবাদ
Design & Developed BY:
ThemesCell