হিন্দু নিধনের প্রতিবাদে ভারত সেবাশ্রম সংঘ ও বঙ্গীয় হিন্দু সুরক্ষা সমিতির ডাকে, গণ সমাবেশ ও ধিক্কার পদযাত্রা।
“”সম্পা দাস,সম্পাদক, নগর টিভি, দৈনিক নগর সংবাদ, নগর সংবাদ ২৪ ডটকম “”কলকাতা বু্রো”
১লা মে বৃহস্পতিবার, ঠিক বিকেল চারটায়, মুর্শিদাবাদ ও কাশ্মীরের পাহেলগাঁওতে হিন্দুদের উপর গণহত্যা চালানোর প্রতিবাদে, ভারত সেবাশ্রম সংঘ ও বঙ্গীয় সুরক্ষা সমিতি এবং অন্যান্য সংগঠনের ডাকে , বালিগঞ্জ ভারত সেবাশ্রম সংঘের প্রধান কার্যালয় থেকে রাজবিহারী লেকমল পর্যন্ত বিশাল প্রতিবাদ মিছিল ও ধিক্কার সমাবেশ করলেন, এবং আগামী ২৬ এর ভোটের জিহাদ টানলেন। কয়েক হাজার সাধু-সন্ততিতে উপস্থিতিতে এই মহা মিছিল। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন স্বামী প্রদিপ্তানন্দজী( কার্তিক মহারাজ)। স্বামী দিব্যাজ্ঞানানন্দজী( নিতাই মহারাজ), রক্তিম দাস সাধারণ সম্পাদক সনাতনী সংসদ, গোবিন্দ দাস সভাপতি সনাতনী সংসদ, উপস্থিত ছিলেন রুদ্রনীল ঘোষ, তমগ্ন ঘোষ সহ অন্যান্য সাধু-সন্ততিরা। ভিক্ষার ও প্রতিবাদ মিছিল শুরু হওয়ার আগে, একটি মশাল জ্বালিয়ে কার্তিক মহারাজ আর শুভ সূচনা করেন। এবং প্রতিবাদের গর্জন তোলেন। এই মহা মিছিলের মধ্য দিয়ে তারা একদিকে শান্তির বাণী আরেকদিকে প্রতিবাদের ঝড় তুললেন, জাতে আর হিন্দুদের উপর অত্যাচার না হয়, হিন্দু নিধন বন্ধ হোক, এবং পাকিস্তান মুর্দাবাদ এই শ্লোগানে তারা ধিক্কার মিছিল নিয়ে লেকমল পর্যন্ত যান, তাহারা বলেন যেভাবে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে জিহাদীদের দ্বারা নারকীয় হিন্দু হত্যা, মন্দির ভাঙচুর, ঘরবাড়ি লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ এবং মা-বোনেদের উপর পৈশাচিক নির্যাতন করে চলেছে আমরা এর প্রতিবাদে ধিক্কার জানাই, এবং স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যদি আর একটা হিন্দু মা-বোনেদের উপর অত্যাচার হয়,
তবে আমরা হিন্দু সনাতনী সমাজ ও সন্ন্যাসীরা ছেড়ে কথা বলবো না, আমরাও দেখে নেব এর শেষ কোথায়, শুধু তাই নয় তারা গর্জে উঠলেন অবিলম্বে ভারত ছাড়ো জিহাদীরা। এই মিছিলে অংশ নেন, বঙ্গীয় হিন্দু সুরক্ষা সমিতি, হিন্দু সুরক্ষা বাহিনী, সনাতনী সংসদ, হিন্দু রক্ষী দল, সনাতনী সংস্কৃতি পরিষদ ও অন্যান্য হিন্দু সংগঠন। আজকের এই মহামিছিলের মূল উদ্দেশ্য, হিন্দুদের সাথে ঐক্যবদ্ধ সংগঠিত করা। এবং সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ গড়ে তোলা। মুখ বুঝে সহ্য না করা। আজকের এই প্রতিবাদ থেকে শুরু হবে আমাদের আগামী দিনের পথ চলা। স্বামীজীরা বলেন, প্রণবানন্দ মহারাজ যিনি ভারত সেবাশ্রম সংঘের প্রতিষ্ঠাতা, তিনি কোনদিন এই বিদ্বেষ চাননি, তিনি সকলকে সঙ্ঘবদ্ধভাবে চেয়েছিলেন হিন্দুদের জাগরণ, হিন্দু সমাজ সংগঠনএবং ঐক্যবদ্ধ। যিনি বাংলার সৃষ্টিকর্তা ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী সঙ্গে নিয়ে একটি বিরাট সম্মেলনও করেছিলেন, মিছিলের শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে কার্তিক মহারাজ গর্জে উঠলেন, এবং বললেন আমাদের উপর যেভাবে নৃশংস হত্যা চলছে, নিপীড়ন চলছে, হিন্দুদের বেছে বেছে খুন করা হচ্ছে, নারীদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে, এবং কাশ্মীরের পাহেলগাঁওতে জিহারীরা যেভাবে গুলি করে হিন্দুদেরকে মেরেছে, আমরা এর শেষ দেখতে চাই, দেখতে চাই শত শত সন্ন্যাসীকে কিভাবে আটকে রাখতে পারে, আগামী দিনে আমরা কিভাবে জবাব দিতে পারি এই মঞ্চ থেকে ঘোষণা করলাম সমস্ত হিন্দু সমাজ এখন, সমস্ত হিন্দু নারী এক হয়ে গর্জে উঠুন আগামী ২৬ এর বার্তা নতুন সূর্যোদয়ের বার্তা আমরা দেব। নতুন সূর্যোদয় হবে।
“”সম্পা দাস,সম্পাদক, নগর টিভি, দৈনিক নগর সংবাদ, নগর সংবাদ ২৪ ডটকম “”কলকাতা বু্রো”