৪ঠা নভেম্বর সোমবার, ঠিক বিকেল পাঁচটায়, কলকাতার কলেজ স্কোয়ার প্রাঙ্গণে, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও বাংলাদেশ বইমেলার শুভ সূচনা হলো,, এই বইমেলা ১১ তম বর্ষে পদার্পণ করল, প্রায় ৬৫ টি প্রকাশনী এই বইমেলায় অংশগ্রহণ করেছেন সুদূর বাংলাদেশ থেকে আসা , এবং তাদের বিভিন্ন বই এই বই মেলাতে ঠাঁই পেয়েছে, ২০১১ সালে প্রথম এই বইমেলা শুরু হয় মাত্র ২২ টি স্টল দিয়ে সেখান থেকেই আজ ৬৫ টি স্টলে পরিণত হয়েছে
, বইমেলার উদ্যোক্তা বলেন আমরা সকলকে এখনো পর্যন্ত স্টল দিতে পারিনি এর জন্য আমরা কৃতজ্ঞ তবে আগামী দিনে আরো বেশি স্টল দেওয়ার চেষ্টা করব। এই মেলার শুভ সূচনা করেন , মঞ্চে দাঁড়িয়ে ফিতে কাটার মধ্য দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ভারপ্রাপ্ত উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু,
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিশেষ অতিথি হিসেবে বিবেক গুপ্তা, উপস্থিত ছিলেন পাবলিশার্স এন্ড বুক সেলার্স গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়। ও সাধারণ সম্পাদক পাবলিশার্স এন্ড বুকসেলার্স গিল্ডের শ্রী সুধাংশু শেখর দে মহাশয়। উপস্থিত ছিলেন সভাপতি জনাব আন্দালিব ইলিয়াস উপ হাই কমিশনার বাংলাদেশ ,কলকাতা।
সম্মানিত অতিথি জনাব মফিদুল হক ট্রাস্ট মুক্তিযোদ্ধার, ,উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ শামছুল আরিফ প্রধান সচিব ,বাণিজ্যিক বাংলাদেশ উপহাই কমিশন কলকাতা, উপস্থিত ছিলেন জনাব মাজহারুল ইসলাম আবহাওয়াক আন্তর্জাতিক বইমেলা কমিটি এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য অতিথিবৃন্দ ও প্রকাশনীর সদস্যরা, সুন্দর একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এবং দুই দেশের সম্পর্ককে আরো সুদূর করতে এই বইমেলার আয়োজন, যে সকল অতিথি মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, তাহাদেরকে উপ হাইকমিশন আন্দালিব মহাশয় ও বাণিজ্যিক উপহার কমিশন উত্তরীয় পরিয়ে পুষ্প স্তবক হাতে দিয়ে সম্মানিত করেন,,
এই বইমেলার প্রধান উদ্যোক্তা বাংলাদেশ উপহার কমিশন কলকাতার আন্দালিপ ইলিয়াস সাহেব মহাশয়ের, যিনি সকলের সাথে একটা সুসম্পর্ক গড়ার চেষ্টা করেন। সংক্ষিপ্ত বক্তৃতার মধ্য দিয়ে অতিথিরা বলেন, প্রতিবছরই এই বাংলাদেশের বইমেলা কলকাতা বুক ফেয়ারের আগেই হয়ে থাকে,
তারপর বাংলাদেশ বইমেলার জন্য আমরা কলকাতা বুক ফেয়ারের জায়গা দিয়ে থাকি, যাহাতে বাংলাদেশের প্রকাশনীরা অংশগ্রহণ করতে পারেন।, বইমেলা সকল বইপ্রেমীদের একটি মিলনস্থল, আমরা চাই দুই দেশের মধ্যে এই মেলার মধ্য দিয়ে সুসম্পর্ক সুন্দর হোক, গড়ে উঠুক,
তাই মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ও অনুপ্রেরণায় বাংলাদেশ বইমেলার একটা জায়গা করে দিয়েছেন। যাহাতে প্রতি বছর বাংলাদেশ বইমেলা করতে পারে এবং তাহাদের নতুন নতুন বই উপহার দিতে পারে।
আজ বইমেলা মঞ্চে একটি গ্ৰন্থতালিকা ও প্রকাশ করলেন । বলেন আমরাও যেমন বাংলাদেশকে বইমেলা করার সুযোগ করে দিয়েছি,,, তেমনি বাংলাদেশও যেন আমাদের পাশে থেকে তাদের বাংলাদেশে বইমেলা করার সুযোগ করে দেন এবং এইভাবে যেন মেল বন্ধন ঘটে।