১৮ তম বর্ষে পদার্পণ করলো বরানগর বারুইপাড়া দেবী গড়ের মাঠ এলাকার দে পরিবারের অন্নপূর্ণা পুজো 2025
“”সম্পা দাস,সম্পাদক, নগর টিভি, দৈনিক নগর সংবাদ, নগর সংবাদ ২৪ ডটকম “”কলকাতা বু্রো”
এই পুজো এবার বড়ো করে হলেও , প্রায় ৫০ বছরের ধরে এই পুজো হয়ে আসছে , রুমাদে বলেন যে এই অন্নপূর্ণা পূজো হতো তার বাবার বাড়িতে। এই পুজো বহু দিনের পুরনো।
মা অন্নপূর্ণা পুজো ১৮ বছর ধরে রুমাদির বাড়িতে শুভ সূচনা হয়ে আসছে।
তার ভক্তি শ্রদ্ধা দিয়ে মা অন্নপূর্ণা দেবী কে প্রতিষ্ঠা করেছেন নিজের গৃহে। কিন্তু আস্তে আস্তে সেই পুজো অন্যরূপে এবং সবার সহযোগিতা নিয়ে একটু একটু করে বড় হচ্ছে ,
আমরা গর্বিত সবাই আমাদের পাশে থাকার জন্য এবং আমরা এক পরিবারের মধ্যে এই পুজোকে ধরে রাখার জন্য,
আমাদের কাছের বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন , পাড়ার – প্রতিবেশী সবাই এক পরিবারের এবং আমরা মনে করি তারা সবাই বিশ্বাস পরিবারেরই মানুষজনের, সবাই যদি আমাদের সহযোগিতার না করতো, তাহলে এইভাবে পুজো করা সম্ভব হতো না ,
রুমা দে ও মিলন দে এবং তাদের একমাত্র পুত্র সঞ্জীব দে উদ্যোগে এই পুজো আরো মানুষের কাছে উঠে আসছে , এবং তাহাদের উদ্যোগেই আমরা বাড়ির সবাই বিভিন্নভাবে পুজোয় মেতে উঠেছি, হুল্লোর ,আনন্দ ,খাওয়া দাওয়া হয়
, সবকিছু মিলেমিশে একটা সুন্দর আমেজ সৃষ্টি হয়। সবাই মিলে আনন্দ উপভোগ করা হয়। হই হই করে অষ্টমী নবমী আনন্দে কেটে যায়। দশমীতে মাকে বরণ করার পর মনটা একটু খারাপ লাগে হয়ে যায় মা ।
অন্নপূর্ণা পূজোয় অষ্টমীর দিনে এবং আমাদের এই বাড়ির পুজো ভক্তি নিষ্ঠাভাবেই হয়। আচার রীতিনীতি মেনে মায়ের ভোগ তৈরি করা হয় এবং হোম যজ্ঞ সবকিছুই আমাদের নিয়ম মেনেই করা হয়ে থাকে।
প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরেও কুমারটুলি থেকে ঠাকুর আনা হয়েছে। মায়ের যে অপূর্ব সুন্দর মুখ মন্ডল তা দেখে সকল মানুষের মন জুড়িয়ে যায়।
মা যেন সকলকে আশীর্বাদ করেন সকলে যেন সুখ শান্তিতে থাকেন। উপস্থিত ছিলেন বরানগরের বিধায়িকা সায়ন্তিকা ব্যানার্জি। ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার শ্রী রামকৃষ্ণ পাল মহাশয় ,
প্রাপ্তন কাউন্সিলর শ্রীমতি সরমা পাল মহাশয়া , মানু নাথ,গোপাল ঘোষ, প্রবীর দা ,সৌরভ এছাড়াও সকল সদস্য বৃন্দ ।
সায়ন্তিকা দি মা অন্নপূর্ণা দেবীর গলায় মাল্য দান করলেন । আর দেবী কাছে সবার জন্য প্রার্থনা করলেন সবাই যেন সুস্থ থাকেন, মা তাকেও যেন সুস্থ রাখেন।
রামকৃষ্ণ দা তার বক্তব্যে বলেন মা অন্নপূর্ণা দেবী যেন সবাইকে সুস্থ এবং ভালো রাখেন। সবার জীবন যেন মঙ্গলময় হয়ে উঠুক। রুমাদি সবাইকে ধন্যবাদ জানালেন তাদের পাশে থাকার জন্য এবং প্রতিমার আবরণ উন্মোচন করার জন্য।
ধন্যবাদ জানালেন সকল প্রতিবেশী, বন্ধুবান্ধব ,আত্মীয় -স্বজনদের যারা না থাকলে এতো সুন্দর ভাবে এই পুজো করা সম্ভব হতো না। সবাইকে আমাদের তরফ থেকে অশেষ ধন্যবাদ ।
দে বাড়ির পূজো দিনে দিনে আরও বড় হয়ে উঠুক এই আশা রাখেন তারা।
আর সকলেই যেনো তার পাশে থাকেন এটা তার একমাত্র মনে ইচ্ছা
“”সম্পা দাস,সম্পাদক, নগর টিভি, দৈনিক নগর সংবাদ, নগর সংবাদ ২৪ ডটকম “”কলকাতা বু্রো