২০১৪ এর প্রাইমারী টেট পাশ-টেন্ড নট ইনক্লুডেড ক্যান্ডিডেটরা.গণ স্বাক্ষর শুরু করলেন।
রিপোর্টার .কলকাতা থেকে শম্পা দাস ও সমরেশ রায়। ।
আজ ধর্মতলা মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির সামনে , একতা মঞ্চ ২১১ দিনের মাথায়, ২০১৪ প্রাইমারী টেট পাশ ট্রেন্ড নট ইনক্লুডেড ক্যান্ডিডেটেরা গণস্বাক্ষর শুরু করলেন,, ।
তারা জানালেন আমরা ভেবেছিলাম মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী হয়তো আমাদের দিকে তাকিয়ে দেখবেন। কিন্তু 211 দিন হয়ে গেল কোন রকম ভাবে আমাদের সহানুভূতি দেখাননি এবং একবার আমাদের কাছে এসে উপস্থিত হননি।, এমনকি সারা রাজ্যে বিভিন্ন দপ্তরে যে ভাবে প্রতারণা শুরু হয়ছে এবং ন্যায্য চাকরি বিক্রি করা হয়েছে টাকার বিনিময়ে আমরা হতবাক, যোগ্য ছেলেমেয়েদের চাকরি না দিয়ে ,সেই চাকরি নিজেদের মধ্যে বিক্রি করা হচ্ছে, অথচ আমরা এতদিন ধরনায় বসে ,শিক্ষামন্ত্রী থেকে শুরু করে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী কেউই আমাদের দিকে মুখ ফেরার নি,
আমরা আজ 211 দিন ঝড়-বৃষ্টি রৌদ্র জলে এই মঞ্চের সামনে বসে, মুখ্যমন্ত্রীর আশায় দিন গুনেছি। অথচ উনি একবার সময় পাননি আমাদের কাছে আসার। তাই আমরা আজ থেকে শুরু করলাম গণস্বাক্ষর , উপস্থিত ছিলেন মীরাতুন নাহা সমাজ সেবী, তিনিও তাদের সহানুভূতি দেখালেন এবং জানালেন আমরা তোমাদের পাশে আছি ,লড়াই চালিয়ে যাও, পিছিয়ে পড়লে হবে না, সারা রাজ্যে যেভাবে প্রতারণা করে, শিক্ষকদের চাকরি বিক্রি করা হয়েছে এবং ধরা পড়ছে,
এর থেকে বোঝা যায় তোমাদের একদিন জয় হবে,,। তোমরা নিজেদের উপর ভরসা রাখো, যৌথ ভাবে লড়াই চালিয়ে যাও,,। একতা মঞ্চ থেকে জানালেন, আমরা আজ থেকে শুরু করব রাস্তার মোড়ে মোড়ে ,বাড়িতে বাড়িতে, অফিসে অফিসে গিয়ে এই গণস্বাক্ষর , আশা করছি পঞ্চাশ হাজারের বেশি আমরা গণস্বাক্ষর করাতে পারবো এটা আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, আমরা সকল বাড়ির সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে এই স্বাক্ষর করাবো, এবং আমাদের পাশে যেন সবাই একত্রিত হয়ে দাঁড়ায়, এটাই আমরা আশা করব সরকারের এই দুর্নীতি প্রতারণা যাতে বন্ধ হয় এবং ন্যায্য ছেলে-মেয়েদের চাকরি যেন হয় এটাই সবার কাছে আমাদের দাবি। আজ সকাল থেকেই মাতঙ্গিনী হাজরা থেকে শুরু করে শহীদ মিনারের কাছ পর্যন্ত টা আলোড়ন সৃষ্টি হয় চাকরিপ্রার্থীদের,। এবং প্রতিটি জায়গায় সকাল থেকেই অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক বেশি পুলিশ মোতায়েন থাকে।