২৬টি মৌজায় খাজনা চালুর দাবি চৌহালী বাসির চৌহালী
(সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি। সারাদেশে খাজনা চালুর যোগ্য মৌজা গুলির সমুদয় সম্পত্তি চরভুমি হিসেবে জেগে উঠেছে আনুমানিক ৩০ থেকে ৪০ বছর পুর্বে। বাংলাদেশ নদী মার্তৃক দেশ, ভাঙ্গন কবলিত জেলা ও উপজেলায় জেগে উঠা নতুন নতুন চঞ্চলে দিয়ারা জরিপ যোগ্য মৌজাগুলোতে খাজনা চালুর দাবি জানান উপজেলার স্ব-স্ব চরাঞ্চল বাসিরা। যমুনা নদীর নতুন পুরাতন বিশাল বিশাল চরে মানুষের সমাগম, বাড়িঘর,পশু খামার, আবাদি জমি, প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দাখিল মাদরাসা, মসজিদ, এতিমখানা, মোবাইল টাওয়ার, হাট-বাজার, ইউনিয়ন পরিষদ, হাসপাতালসহ উপজেলায় ২৬টি দিয়ারা জরিপ যোগ্য মৌজা। চৌহালীতে চর উন্নয়নে হাজার হাজার একর ভুমি খাজনা ও দলিলের আওতায় আনা হলে যেমন রাজস্ব বাড়বে তেমনি সাধারণ জনগণ উপকৃত হবে। চৌহালী উপজেলাধীন মৌজা ওয়ারি দিয়ারা জরিপ যোগ্য ইউনিয়ন ওয়ারি নামের প্রস্তাবকৃত তালিকা হচ্ছে- সদিয়াচাদপুর ইউনিয়নে সদিয়া মৌজা, বেলিত, এনায়েতপুর, স্থল ইউনিয়নে স্থল নওহাটা মৌজা, ছোট চৌহালী, মালিপারা, বসন্তপুর, সন্তোষা, দিঘলকান্দি, একরামপুর, পয়েল সাটিয়া , বাইশ বাড়ি, ঘোরজান ইউপিতে ঘোরজান ইউপির মুরাদপুর, দক্ষিণ বরংগাইল , উত্তর বরংগাইল , দক্ষিণ তেঘরি, কাটার বাড়ি, বালিয়া কান্দি, কৈরট, বোচারঘাতি,উমারপুর ইউপিতে দত্তকান্দি, পাচশিমলিয়া, মধ্যশিমুলিয়া, হাপানিয়া, মাঝগাও, বাঘুটিয়া ইউপি হাপানিয়া, হাটাইলসহ খাষপুখুরিয়া ইউপি ও খাষকাউলিয়া ইউপির কিছু অংশ খাজনা যোগ্য মৌজা। উপজেলা ভুমি অফিস সুত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে ৮৩ নং স্মারক ও ২০২১ সালে ১০৭ নং স্মারকে স্ব-স্ব ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা কর্তৃক মাঠ সরেজমিন তদন্ত ও রেকর্ড যাচাই পূর্বক প্রতিবেদন দাখিল ও মৌজা ওয়ারী দিয়ারা জরিপের জন্য সুনির্দিষ্ট নামের তালিকা প্রস্তাব প্রেরণ করা হয় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়। চৌহালীতে চরের জমি খাজনা চালু করা হলে সরকারের রাজস্ব বাড়বে তেমনি জনগণের কষ্ট লাগব হবে। সরকারের উন্নয়ন ধারা অব্যাহত ও রাজস্ব খাত বৃদ্ধির লক্ষ্যে জরিপ যোগ্য মৌজা খাজনা খারিজ চালু ও দলিলের আওতায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার দাবি জানান খাষপুখুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো, মিজানুর রহমান, উমারপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আঃ মতিন মন্ডল, ঘোরজান ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রমজান আলী, স্থল ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, বাঘুটিয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল কাহহার সিদ্দিকী,খাষকাউলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবলু, সদিয়াচাদপুর ইউপি চেয়াম্যান, জনসাধারণ, সচেতন ও অভিজ্ঞ মহল। মিরকুটিয়া ভুমি অফিসের নায়েব জাহিদ হোসেন বলেন, আধুনিক উপজেলা গড়তে যমুনার চরে জেগে উঠা হাজার হাজার একর জমি দিয়ারা জরিপ যোগ্য, এসব মৌজা রাজস্ব আয়ের অন্তর্ভুক্ত করা হলে চৌহালী উপজেলার প্রায় লক্ষাধীক মানুষ উপকৃত হবে। উপজেলা ভুমি অফিসের সার্ভিয়ার আলতাব হোসেন বলেন, জেলা প্রশাসকের চাহিদা মোতাবেক প্রত্যেক ইউনিয়ন ভুমির জরিপ মুলে বিভিন্ন স্মারকে পত্যায়ন একাধিক বার চৌহালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক সাক্ষরিত মৌজা ওয়ারি দিয়ারা জরিপ যোগ্য জমির তালিকা জেলা প্রশাসক এর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে চৌহালীর সাব- রেজিস্ট্রার মো, আব্দুর রহমান বলেন, চৌহালী নদী মার্তিক ও চর অঞ্চলের মৌজা দিয়ারা জরিপ যোগ্য, রাজস্ব আয়ের আওতায় আনা হলে সরকারের আয়ের উৎস্য হবে এবং ভুক্তভোগী জনসাধারণ উপকৃত হবে। ##### মাহমুদুল হাসান চৌহালী সিরাজগঞ্জ।