আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচকে ঘিরে আগামী ২৮ অক্টোবরের ঢাকায় আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ ও বিএনপির মহাসমাবেশকে ঘিরে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে দুই দল। এদিন নির্বাচনের আগে দেশের পট পরিবর্তনের শঙ্কা নিয়ে মাঠে অবস্থানের ঘোষণা আওয়ামী লীগের আর দেশের পট পরিবর্তনের মাধ্যমে নিজেদের দাবি আদায়ে মহাসমাবেশে অংশ নেবে বিএনপি।
জানা যায়, ২৮ অক্টোবরের শান্তি সমাবেশে নারায়ণগঞ্জ থেকে সর্বোচ্চ সমাগমের কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মেনে বাস ট্রাক ট্রেনে করে নেতাকর্মীদের ঢাকায় নেয়া হবে। ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে এ লক্ষ্যে বিশেষ ট্রেন বরাদ্দের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। পাশাপাশি ঢাকার সাথে নারায়ণগঞ্জে ঢাকার প্রবেশ পথগুলোতেও অবস্থানের জন্য নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের এমপি নজরুল ইসলাম বাবু, ৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কায়সার হাসনাত, ৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান এ লক্ষ্যে নিজেদের নেতাকর্মীদের নিয়ে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন। দলের সংসদ সদস্যরা সকলেই হাজার হাজার নেতাকর্মীর বিশাল বহর নিয়ে ঢাকায় যাবেন এদিন। তাদের ঘোষণায় কেন্দ্রের প্রত্যাশা কয়েক লাখ লোক শুধুমাত্র নারায়ণগঞ্জ থেকেই এদিন ঢাকায় অবস্থান নেবে।
নেতারা জানান, যেকোন উপায়ে নেতাকর্মীদের প্রস্তুত করা হচ্ছে। এগুলো তো গেল শুধু সংসদ সদস্যদের হিসাব। এ ছাড়াও নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পৌরসভার মেয়র, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর, মেম্বাররা সকলেই হাজার হাজার নেতাকর্মী নিয়ে আলাদা আলাদা শোডাউন দেবে সেদিন।
নেতারা আরো জানান, জনপ্রতিনিধি ছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে এদিন নেতারা হাজার হাজার নেতাকর্মীর শোডাউন দেবে। একই সাঙ্গে আগামী সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতারাও ২৮ অক্টোবর নিজেদের শক্তির জানান দেবে।
একই অবস্থা বিএনপির ক্ষেত্রেও। বিএনপির ৫টি আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, মনোনয়ন প্রত্যাশী, দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য, জেলা ও মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতারা এদিন আলাদা ভাবে নেতাকর্মীর বিশাল মিছিল সহকারে ঢাকায় শো-ডাউনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এক্ষেত্রে যেসকল নেতাকর্মীদের নামে মামলা আছে তাদের সেদিন যেকোন মূল্যে হাজির থাকতে বলা হচ্ছে।
দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দলের যত নেতাকর্মীর নামে মামলা রয়েছে তত নেতাকর্মী ঢাকায় উপস্থিত হতে পারলেই সেদিন ঢাকায় মহাসমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হবে। আর তাই সেদিন মামলার হাজিরা ধরে নিয়ে ঢাকায় উপস্থিত হতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই জানান, আমরা ঢাকায় সমাবেশের জন্য সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছি। আমাদের নেতাকর্মীরা সেদিন নিজেদের শক্তির জানান দিতে প্রস্তুত। এ ছাড়াও বিএনপি জামায়াতের যেকোন নাশকতা রোধে নারায়ণগঞ্জেও আমাদের নেতাকর্মীরা সতর্ক রয়েছে এবং সতর্ক অবস্থানে থাকবে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের গত কয়েকদিন ধরে গণগ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এ ছাড়াও নিয়মিত আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়িতে পুলিশের অভিযান চলছে। তবুও আমাদের নেতাকর্মীরা মহাসমাবেশে সেদিন সর্বোচ্চ উপস্থিতি নিয়ে হাজির হবে। আমাদের লাখো নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে সে মামলার প্রতিবাদ হিসেবে নিরপরাধ সকল নেতাকর্মী সেদিন মহাসমাবেশে হাজিরা দেবে।