ঠিক সকাল সাড়ে আটটায় মাতৃমন্দির দুর্গামন্ডপ সংযোগস্থল হইতে, এক সুন্দর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন ও বসন্ত উৎসব পালিত হলো,
এই শোভাযাত্রা শুরু হয় মাতৃমন্দির দুর্গামন্ডপ থেকে ফকির ঘোষ লেন হয়ে ইউ বি কলোনি হয়ে মাতৃ মন্দির লেনে হয়ে বারুইপাড়া হয় জি. পি .এস.স্কুল হয়ে বড়োপুকুর মাঠ হয় পুনরায় মাতৃমন্দির লেনে এসে সমাপ্ত হয়।
এই শোভাযাত্রাটি পরিচালনা করেন তিন নম্বর ওয়ার্ডের পৌর পিতা সুধাংশু আওন (কমল)
এবং ৩ নং তৃণমূল কংগ্রেসের সমস্ত স্তরের সদস্য -সদস্যরাবৃন্দ ও এলাকাবাসী। শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন যুব প্রেসিডেন্ট বাবু ঘড়ুই ,
ছাএ প্রেসিডেন্ট সুদীপ্ত চ্যাটার্জি, ওয়ার্ডে এ লেজেন্ড সুধাংশু পাল, মহিলা এজেন্ট সুমি রায়, সহ পৌরসভার সকল সদস্যবৃন্দ এবং এলাকায় মহিলা ও শিশুরা।
এই শোভাযাত্রা শুরু হয় সুন্দর নৃত্য ও বক্তৃতার মধ্যে দিয়ে, অংশগ্রহণ করেন ছোট বড় নৃত্যশিল্পীরা,এবং বসন্তের আহবানে সারা শোভাযাত্রা জুড়ে রঙিন আবীরে মাতোয়ারা সকলে।
একে অপরকে আবির মাখিয়ে বসন্তকে মনে করিয়ে দেয়, সাথে বেজে উঠে রবীন্দ্রনাথের বেশ কয়েকটি গান । তারপরেই পুনরায় রং মেখে দোলে মাতোয়ারা হবে।
তবে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা থাকায়, চেষ্টা করেছেন শান্তিপূর্ণভাবে শোভাযাত্রা করার মাইকের সুর কমিয়ে গানের তালে তালে পদ পরিক্রমা করেছেন, জাতে পরীক্ষার ছাত্র-ছাত্রীদের বিঘ্ন না ঘটে,
সেই দিকটাও নজরের মধ্যে রেখেছিলেন, দেখতে দেখতে সাত বছরে পদার্পণ করল এই বসন্ত উৎসব।
বসন্ত উৎসব মানেই রঙিন আবীরে ভেসে যাওয়া,তার সাথে সাথে একে অপরকে নৃত্যের সাথে সাথে মাতিয়ে তুলল।
সংক্ষিপ্ত বক্তৃতার মধ্যে দিয়ে উদ্যোক্তা জানান, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে ,তাই এবারে আমরা বিকেলের অনুষ্ঠান
রাখিনি ছোট করে এই শোভাযাত্রা করেছি, যাতে পরীক্ষার্থীদের কোনোরকম অসুবিধা না হয় ,
আর তার সাথে সাথে সকল উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র-ছাত্রীদের আমরা শুভেচ্ছা জানাই পরীক্ষা ভালো হোক,
এই বছরে অনেককেই হয়তো রঙে রঙিন হয়ে উঠতে পারবেনা পরীক্ষা থাকায়।কিছুটা তাদের মধ্যেও হয়তো দুঃখ রয়ে যাবে।