আজ ৪৬ তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বই মেলা 2023... শুভ সূচনা হলো.... পাবলিশার্স এন্ড বুক সেলার্স গিল্ড এর উদ্যোগে, এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সহযোগিতায়, সল্টলেক, বইমেলা প্রাঙ্গণ ,করুণাময়ী তে এই অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। দুপুর একটাই, এই মেলা চলবে ৩০ শে জানুয়ারি থেকে 12 ই ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত, এই মেলার শুভ সূচনা করলেন পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মারিয়া খোসে গালভেজ সালভাদর, এবং বিশিষ্ট সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়,। এছাড়া মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, মাননীয় মন্ত্রী সুজিত বোস, মাননীয় মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস,। মন্ত্রী শ্রীমতি দোলা সেন , মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, মন্ত্রী জাবেদ খান, পৌর মাতা, কৃষ্ণা চক্রবর্তী , সহ অন্যান্য অতিথি বৃন্দ সাহিত্যিক কবি ও উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন সুধাংশুশেখর দে ও ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়।, সুন্দর একটি স্কুলের ছেলেমেয়েদের সঙ্গীতের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এবং মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী ঘণ্টা বাজিয়ে এই বইমেলা শুভ সূচনা করেন, এরপর মঞ্চে সকল অতিথিদের একে একে বরন করে নেন, শুধু তাই নয় মঞ্চে দাঁড়িয়ে বেশ কয়েকটি বইয়ের শুভ সূচনা করেন এবং সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় কে সৃষ্টি সম্মানে ভূষিত করেন সি ইএস সির উদ্যোগে। বইমেলার উদ্বোধন মঞ্চ থেকে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী সকল দেশের প্রকাশনীদের শুভেচ্ছা জানান এবং তিনি বলেন বই মানুষের কাছে অনেক কিছু তুলে ধরে অজানাকে জানিয়ে দেয়। এবং প্রতিটি বইয়ের মধ্যে বহু তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়, এই মঞ্চ থেকে তিনি ঘোষণা করেন উদ্যোক্তাদের, যে শুধু কলকাতার বুকে বা গ্রামগঞ্জে বইমেলা করলে হবে না, আপনারা উদ্যোগ নিন আমি আপনাদের পাশে আছি, দিল্লিতে একটি বই মেলা করার পরিকল্পনা করুন। সেখানে যেমন বাংলা বইয়ের সমারো থাকবে, তেমনি একইভাবে বিভিন্ন দেশ কেউ আমন্ত্রিত করা হবে, তাদেরও বই সেখানে স্থান পাবে।, সকাল থেকেই ছিল আটোসাটো ভাব করা নিরাপত্তা মেলার চতুর্দিকে এমনকি যাতে কোনরকম কিছু না ঘটে তাহার জন্য সম্পূর্ণ ব্যারিকেডের ব্যবস্থা করেছিলেন মেলা প্রাঙ্গণে , জাগো বাংলা তরুণের সামনে যে সংগীতের আয়োজন করা হয়েছিল সেখানেও তিনি পরিদর্শন করেন এবং বেশ কয়েকটি স্টলও পরিদর্শন করেন তিনি বলেন যে সকল দেশ ও পাবলিশার্স এই বইমেলায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি ,আমি চাইবো তারাও বইমেলায় অংশগ্রহণ করুক, সেই সকল পাবলিশার্স আসুক এই মঞ্চে দাঁড়িয়ে, ফায়ার ডিভিশন, সি ইএস সি , পরিবহন দপ্তর ,স্বাস্থ্য দপ্তর ,তাহাদের উদ্দেশ্যে জানান ,আপনারা এই কটা দিন, উদ্যোক্তাদের পাশে থেকে সহযোগীতার হাত বাড়াবেন ,কোন রকম যেন দুর্ঘটনা না ঘটে এবং সাধারণ মানুষ যেন সুস্থভাবে আসা যাওয়া করতে পারে, বইমেলায় এসে আনন্দ করতে পারে ,বই কিনতে পারে, তাহার দিকে নজর দেবেন এবং বইপ্রেমীরা জাতে বইমেলা থেকে বাড়ি ফিরতে পারে ,গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থাটা নজরে রাখবেন।, বইমেলায় থাকছে প্রতিদিন বিভিন্ন অনুষ্ঠান, থাকছে লটারী, এবং কবি ও সাহিত্যিকদের নতুন বই এর শুভ সূচনা করার সুযোগ। এবারের বই মেলায় সাড়ে নয়শ স্টল রয়েছে,। কুড়িটি দেশ অংশগ্রহণ করেছেন,। এবারে প্রথম থাইল্যান্ড অংশগ্রহণ করলেন এছাড়া অংশগ্রহণ করছেন বাংলাদেশের ৭০ টি স্টল নিয়ে,। এবং মেলার চতুর্দিকে নয় খানা গেট তৈরি হয়েছে সেই নকানা গেটে বিভিন্ন নামকরণ দেওয়া রয়েছে, কোন গেটের নাম অগ্নিবীণা, কোনোটা বিশ্ব বাংলার গেট ,আবার কোনটা নেতাজি রবীন্দ্রনাথ বিবেকানন্দের গেট, প্রতিটি ডেট দিয়ে ই দর্শকদের ঢোকার ও বেরোনোর রাস্তা থাকছে, এছাড়া থাকছে তরুণ মজুমদারের নামে দুটি মুক্তমঞ্চ,। প্রতিবারের ন্যায় থাকছে প্রেস কর্নার, থাকছি প্রশাসনিক বিভাগের একটি অফিস, থাকছি ব্রড ব্যান্ডের একটি সার্ভিস সেন্টার, থাকছি সিএসসির একটি অফিস এবং sbi ব্যাঙ্ক ও হেল্প সেন্টারে একটি অফিস, উদ্যোক্তাদের এবং মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী আশা করেন আগের বছর ২৩ থেকে ২৪ কোটি টাকার ব্যবসা এই মেলা থেকে হয়েছে এবারে তার থেকেও অনেক বেশি ব্যবসা হবে এটুকু আশা করা যায় তিনি দর্শকদের উদ্দেশ্যে বলেন সবাই আসুন বইমেলায় নতুন নতুন বই পড়ুন কিনুন এবং পাবলিশার্সদের উৎসাহিত করুন।