নগর সংবাদ।।জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
সোমবার (১৫ আগস্ট) বেলা ১১টা ৫৯ মিনিটে জাতির পিতার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে, জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধুর শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও বিশেষ দোয়া-মাহফিলে অংশ নিতে নিজের গ্রামের বাড়ি এসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে রওনা হয়ে সোমবার (১৫ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টা ৩৫ মিনিটে টুঙ্গিপাড়ায় এসে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।
টুঙ্গিপাড়ার কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ শেষে প্রধানমন্ত্রী বিকেলে হেলিকপ্টারে ঢাকায় ফিরে আসবেন।
এদিন সকাল সাড়ে ৬টায় ঐতিহাসিক ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
এরপর সকাল ৭টা ২০ মিনিটে বননী কবরস্থানে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে শাহাদতবরণকারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং ফুলের পাপড়ি ছড়িয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পনেরই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। ১৯৭৫ সালের এদিনে ঘাতকরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে।
এদিন জাতির পিতার সহধর্মিনী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব, তিন পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল, দশ বছরের শিশুপুত্র শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, একমাত্র সহোদর বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবু নাসের, কৃষকনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, যুবনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফজলুল হক মণি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি, বেবী সেরনিয়াবাত, আরিফ সেরনিয়াবাত, সাংবাদিক শহীদ সেরনিয়াবাত, সুকান্ত বাবু, আব্দুল নঈম খান রিন্টুসহ পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে ঘৃণ্য ঘাতকরা এ দিনে হত্যা করে। রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল এবং কর্তব্যরত পুলিশের বিশেষ শাখার এএসআই সিদ্দিকুর রহমান নিহত হন। ঘাতকদের কামানের গোলার আঘাতে মোহাম্মদপুরে একটি পরিবারের বেশ কয়েকজন হতাহত হন।