৪৭ তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা ২০২৪ কে কেন্দ্র করে, আজ একটি সাংবাদিক সম্মেলন ।
শম্পা দাস,সম্পাদক,দৈনিক নগরসংবাদ,নগরসংবাদ ২৪ডটকম,,কলকাতা ব্যুরো
আজ ১৬ই জানুয়ারী মঙ্গলবার, ঠিক বিকেল চারটায় কলকাতা বইমেলা প্রাঙ্গণের প্রেস কর্ণারে, একটি সাংবাদিক সম্মেলন করলেন, পাবলিশার্স এন্ড বুকসেলার্স গিল্ডের পরিচালনায় ১৮ই জানুয়ারী ৪৭তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বই মেলার শুভ সূচনার আগে, এই বইমেলা চলবে ৩১ শে জানুয়ারী পর্যন্ত।
মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় ও সহযোগিতায় এবং পাবলিশার্স এন্ড বুকসেলার্স গিল্ডের পরিচালনায় এবারে ৪৭ তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা বইপ্রেমী ও দর্শকদের আনন্দ আরো বাড়িয়ে তুলবে বলে মনে করেন, এই বইমেলার শুভ সূচনা করবেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ,
এবং উপস্থিত থাকবেন ব্রিটিশ কাউন্সিলের ভারতের ডাইরেক্টর আ্যলিসন ব্যারেট এমবিই, ভারতের ব্রিটিশ উপরাষ্ট্র দূত অ্যালেক্স এলিস সিএমজি, এছাড়া উপস্থিত থাকবেন বিভিন্ন পদাধিকারী ও মন্ত্রী মহোদয়েরা, আজকের আলোচনার মূল বিষয় ছিল ৪৭ তম আন্তর্জাতিক বই মেলা এবারে কি কি সুযোগ-সুবিধা রাখছে এবং কি কি অনুষ্ঠান এই কয়েকদিনে থাকছে তার বিবরণ।
তবে গিলদের তরফ থেকে আশা করছেন এবারে আরও বেশি বইপ্রেমীদের সমাগম হবে, মাননীয় গ্রীল্ল্ডর সভাপতি ত্রিদিপ কুমার চট্টোপাধ্যায় এবং সাধারণ সম্পাদক সুধাংশু শেখর মহাশয় বলেন, যেমন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী আমাদেরকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ,তেমনি হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন প্রশাসন ,ইলেকট্রিক সাপ্লাই ,দমকল এবং বিভিন্ন দেশের পাবলিশার্সরা, কারণ এই পাবলিশার্সরা না থাকলে কখনোই বই মেলা সুন্দর হয়ে উঠতে পারে না,
এই বছর প্রায় এক হাজারের বেশি পাবলিশার্স অংশগ্রহণ করেছেন এবং প্রায় 10000 এর উপর নতুন বই এই বই মেলায় প্রকাশিত হবে এই বইমেলায় দর্শকদের জন্য সুযোগ সুবিধা রাখছেন ও সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন গ্রিল্ডের পক্ষ থেকে, এই বইমেলা কয়েকদিন যাতে সরকারি বাস একটু বেশি চলে, মেট্রো পরিষেবা একটু বেশি দেয়,
এবং অটো রিক্সা ভাইদের কাছে দাবী জানিয়েছেন, যেন বেশি ভাড়া না নেয়, দর্শকদের সাথে সহযোগিতা করেন। এবারে প্রায় কুড়িটি দেশের প্রকাশনা বইমেলায় অংশগ্রহণ করেছে যেমন। ব্রিটেন, আমেরিকা, জার্মানী, ফ্রান্স, ইতালী, রাশিয়া, স্পেন ,পেরু, কলম্বিয়া, আর্জেন্টিনা, মেক্সিকো, ডোমিনিকান, রিপাবলিক, কস্তুরিকা ,থাইল্যান্ড , গুয়াতে মালা, এছাড়াও থাকছে বাংলাদেশের ৫০ টি প্রকাশনা সংস্থা, এছাড়া মেলায় কয়েকদিন ধরে চলবে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ,পুরস্কার বিতরণী, শিশু দিবস ,সুরক্ষা দিবস, বলিষ্ঠ নাগরিক দিবস, এবং সম্মাননা, থিম কান্ট্রি দিবস, বাংলাদেশ দিবস , সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকছে।
থাকছে কবি ও সাহিত্যিকদের আলোচনা সভা, সব মিলিয়ে দর্শকদের আনন্দ দেবে বলে মনে করেন। সবার শেষের সাংবাদিকদের জানান আপনারা আমাদের পাশে না থাকলে এইভাবে প্রচার করা সম্ভব হতো না আপনাদের প্রচারই আমাদের কাছে একান্ত কাম্য। এবারে আরেকটি কথা গ্ৰীল্ডের তরফ থেকে আবেদন রেখেছেন, যে সকল বইপ্রেমী বই কিনেন,
নিশ্চয়ই কোন উদ্দেশ্যে, বা কাউকে যদি বই দেন, সেটা কি উদ্দেশ্যে দিচ্ছেন ,একটু যদি তারা বলে দেন ,কি উদ্দেশ্যে বই নিচ্ছেন এবং কাকে বই উপহার দিচ্ছেন, পাবলিশার্স ও প্রকাশনী দের কাছে যেন একটু নথিবদ্ধ করেন, যে উদ্দেশ্যেই বই কিনুক না কেন, এর সাথে সাথে সকল বইপ্রেমীদের উদ্দেশ্যে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানালেন আসুন বই কিনুন আনন্দ করুন। আপনারাই আমাদের এগিয়ে চলার পথ দেখাবেন, যাহাতে পাবলিশার্সরা ও কবি সাহিত্যিকরা আরো বেশি করে বই লিখতে পারেন ও ছাপাতে পারেন।