নারায়ণগঞ্জ খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালকে ৫০০ শয্যায় উন্নীতকরণের উদ্দেশ্যে প্রায় ৪ বছর পূর্বে নির্মাণ কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু পর পর দুইবার প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হলেও ভবন নির্মানের অর্ধেক কাজও শেষ হয়নি।অনুসন্ধানে জানা যায়, ৩০০ শয্যা হাসপাতা কে ৫০০ শয্যায় উন্নীতকরণের নির্মাণ কার্যক্রম শুরু হয় ২০১৮ সালের জুন মাসে। নির্মাণ শুরুর ১৯ মাসে প্রকল্পটির ২০ শতাংশ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। পরবর্তী বছর ১২ মাসে কাজ হয়েছে কেবল ৫ শতাংশ। ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত বরাদ্দকৃত ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পের মোট ২৫ শতাংশ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। ২০২১ সালের জানুযারি পর্যন্ত আরো ১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪ শতাংশ কাজ হয়। একই বছরের জুন মাস পর্যন্ত প্রকল্পের অগ্রগতি হয় ৩০ শতাংশ। এই সময় পযন্ত মোট ব্যয় হয়েছে ১৪ কোটি টাকা। ২০২১ সালের জুন থেকে ২০২২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫ শতাংশ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। সব মিলিয়ে ৪৬ মাসে ২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫০০ শয্যা উন্নতীকরণ প্রকল্পের ৪৫ শতাংশ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।
ঢালি কন্সট্রাকশনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মচারী বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে আমাদের কার্যক্রম কয়েক মাস বন্ধ ছিল। আর কার্যক্রম শুরুর দিকে এখানের গাছ কাটার জন্য বনবিভাগের অনুমতি পেতে অনেকটা সময় কেটে গেছে। এছাড়া ভবন নির্মাণের নকশা পেতেও অতিরিক্ত সময় অতিবাহিত হওয়ায় আমাদের কার্যক্রম কিছুটা ধীরে চলেছিল। এখন ভালো গতিতেই কাজ চলছে।
এদিকে ৩শ শয্যা হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে জানান, বর্তমানে হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে বাড়তি রোগীর চাহিদা নেই। কিন্তু সবকিছু স্বাভাবিক হলে তখনও হাসপাতালের ভবন না হলে চিকিৎসা সেবায় বেঘাত ঘটবে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সূত্র জানা যায়, ৩’শয্যা হাসপাতাল ৫’শ হাসপাতালে উন্নত হলে, চিকিৎসা সেবায় যুক্ত হবে রেডিওলজি, আইসিইউ, কার্ডিওলজি ও বার্ন ইউনিট। ভবনের নিচতলায় থাকবে গাড়ি পার্কিং, জরুরি বিভাগ, রেডিওলজি ও সার্ভিস বøক। দ্বিতীয় তলায় কনসালট্যান্ট প্যাথলজি। তৃতীয় তলায় প্রশাসনিক কার্যালয় ও প্যাথলজি, চতুর্থ তলায় অপারেশন থিয়েটার ও আইসিইউ, পঞ্চম তলায় কার্ডিওলজি ইউনিট এবং যষ্ঠ ও সপ্তম তলায় থাকবে রোগীদের ওয়ার্ড, কেবিন ও চিকিৎসকদের কক্ষ। এছাড়াও থাকবে মুমূর্ষু রোগী ও সাধারণ রোগীদের ব্যবহারের জন্য আলাদা আলাদা লিফট। দ্বিতীয় ধাপে ভবনটির বাকি অংশ নির্মিত হলে সেখানে নতুন সেবা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।
৫০০ শয্যা হাসপাতালের নির্মাণ প্রসঙ্গে নারায়ণগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন বলেন, ৩’শ হাসপাতালকে ৫’শয্যায় উন্নীতকরণের উদ্দেশ্যে নির্মাণ কার্যক্রম চলছে। আমরা দ্রæত কাজ শেষ করানোর চেষ্টা করছি। পরিকল্পনা অনুযায়ী কার্যক্রম হলে ২০২৩ সালের জুন মাসে আমাদের প্রথম ধাপের কাজ শেষ হবে।