৫ দফাকে গুরুত্ব দিয়ে র্যাবের সকল অধিনায়ককে দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে
– মাহবুব আলমঃ
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) নব নিযুক্ত মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ বলেছেন, বিগত দিনগুলোতে উন্নত পেশাদারিত্বের মাধ্যমে র্যাব ফোর্সেস তার সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে এসেছে। ৫ দফাকে গুরুত্ব দিয়ে র্যাবের সকল অধিনায়ককে দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এসময় তিনি কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন। রোববার দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলা র্যাব সদর দপ্তরে আয়োজিত র্যাব ফোর্সেস সিও (কমান্ডিং অফিসার) সম্মেলনে তিনি এসব নির্দেশনা দেন।
র্যাব ডিজি বলেন, আজকে সিও (অধিনায়ক) পর্যায়ে কনফারেন্স ছিল। আমি তাদের পাঁচটি বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছি। এলিট ফোর্স হিসেবে র্যাবকে উদ্ভাবনী হতে হবে। মানুষকে সেবা দেওয়া, অপরাধ দমন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, জঙ্গি সন্ত্রাস দমন এবং মাদক উদ্ধারসহ আভিযানিক কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করা। এজন্য প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে র্যাবকে স্মার্ট বাহিনী হিসেবে কর্মপরিধি বাড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা বজায় রাখার ব্যাপারে তিনি বলেন, র্যাব মহাপরিচালক হিসেবে বাহিনীর অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সকলকে সচেষ্ট থাকার কথা বলা হয়েছে। র্যাবের পবিত্র পোশাকের সম্মানহানি হয় এমন কাজ করা থেকে বিরত থেকে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি অনুযায়ী তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে আহ্বান করা হয়েছে। শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ থেকে বিরত থাকার বিষয়ে নির্দেশনা দেন তিনি।
মানবাধিকার সমুন্নত রাখার ব্যাপারে র্যাব মহাপরিচালক বলেন, আমরা মানুষের মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে চাই। র্যাবের কোনো সদস্য অবশ্যই মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো কাজে জড়াবেন না বলে আশা করেন তিনি। কোনো সদস্য যদি কারো মানবাধিকার হরণ করতে চায় তাহলে তাকে আইনের আওতা আনা হবে বলেও জানান তিনি। বাংলাদেশের সংবিধান অনুসৃত মৌলিক মানবাধিকার সমূহ সমুন্নত রাখার বিষয়টি আরও বেশি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। এসময় তিনি পুরোপুরি সচেতন থেকে মানবাধিকার, জেন্ডার সংবেদনশীল বিষয়কে সমুন্নত রেখে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করার উপর গুরুত্বরোপ করেন। রাষ্ট্রীয় শৃংখলা, জননিরাপত্তা এবং অপরাধ দমন ও নিয়ন্ত্রণসহ সকল আভিযানিক কার্যক্রমে আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করার উপর র্যাব ডিজি গুরুত্বারোপ করে বলেন:
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, জননিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলা, অপরাধ দমন ও নিয়ন্ত্রণের মতো চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি মাদক, জঙ্গি, সন্ত্রাস, কিশোর গ্যাং, ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম, অনলাইন প্রতারণা, সাইবার ক্রাইম এর মত বিভিন্ন ধরণের অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। র্যাব এবং অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো দীর্ঘদিন ধরেই এই অপরাধ সমূহের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে আসছে। আইনানুযায়ী নিয়মতান্ত্রিকভাবে অভিযান জোরদার করতে সুস্পষ্ট দিক-দির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বেআইনি বা আইন বহির্ভূত কোনো কাজে যাতে র্যাব সদস্যরা না জড়ান বা অপেশাদার কাজ না করেন সেব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন তিনি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স উল্লেখ করে র্যাব ডিজি বলেন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধের মাধ্যমে দেশের প্রকৃত আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য একটি সুশাসন ভিত্তিক রাষ্ট্রীয় কাঠামো প্রতিষ্ঠার জন্য দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির ঘোষণা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী দুর্নীতির বিরুদ্ধে র্যাবের দৃঢ় অবস্থান পুনঃর্ব্যক্ত করেন তিনি।