৩রা নভেম্বর রবিবার, একদিকে চলছে বাড়ীতে বাড়ীতে বোনেদের ভাইফোঁটা, অন্যদিকে সমস্ত ক্লাবের প্রতিমা নিরঞ্জনের শোভাযাত্রা বাবুঘাটের দিকে। দুপুর থেকেই বাবুঘাটে একের পর এক প্রতিমা নিরঞ্জন চলছে। অন্যদিকে প্রশাসনের তরফ থেকে বার বার সতর্কবার্তা মাইকেকের মাধ্যমে জানানো হচ্ছে, সুস্থভাবে প্রতিমা নিরঞ্জন করুন,
কেউ বেশি জলে নামবেন না, কোন রকম বাজী ফাটাবেন না, কোনোভাবে মহিলারা ঘাটে প্রবেশ করিবেন না, প্রতিমা নিরঞ্জন করে ঘাটথেকে বাইরে বেরিয়ে যাবেন, কিন্তু অনেক বাড়ির মহিলাদের আফসোশ ঘাটে নামতে না পারায়, তারা প্রশাসনের কাছে জানতে চাইলে, প্রশাসনের অফিসাররা বলেন আমাদের কাছে যেমন নির্দেশ আছে,
আমরা সেই মতো পালন করছি, কেএম সি তরফ থেকে অফিসাররা সতর্ক দৃষ্টি ও নজর রাখছেন, ঘাটের চতুর্দিকে পুলিশ প্রশাসনের ও কেএম সি এর লোকেরা নজরদারী রাখছেন, এবং নদীর জল যাতে দূষণ না হয়, প্রতিমা ফেলার সাথে সাথে কেএম সি র লোকেরা ক্রেনের সাহায্যে ডাঙায় তুলে ফেলা হচ্ছে, এবং সেই গুলিকে ডাম্পার দিয়ে অন্য জায়গায় নিয়ে চলে যাওয়া হচ্ছে। আস্তে আস্তে সন্ধ্যে যত বাড়তে থাকে, প্রতিমা জমতে থাকে বাবু ঘাটে,
পুলিশের নির্দেশে সারিবদ্ধ ভাবে বাবুঘাটে চতুর্দিকে প্রতিমাগুলিকে রাখার নির্দেশ দেন এবং একে একে প্রতিমা গুলি বিসর্জন করার নির্দেশ দেন। যাহাতে হুড়ো-হুরি করে কোন বিপদ না ঘটে। কলকাতার ঐতিহ্যশালী কালীপুজো যেটা সকলে দেখার জন্য বাবুঘাটে অনেক আগে থেকে ভিড় করতে থাকে, সেই চামুন্ডামাকেও পুলিশি পাহারায় বিসর্জন দেওয়া হয়,
এই মাকে বিসর্জন করার সময় অন্যান্য প্রতিমা বিসর্জন বন্ধ থাকে, কারণ এতটাই বিশালাকার প্রতিমা, এই জাগ্রত চামুণ্ডা মাকে বিসর্জন দিয়ে তারপর প্রশাসনের অফিসারেরা অন্যান্য প্রতিমা বিসর্জন করার নির্দেশ দেন। প্রায় কয়েকশো প্রতিমা আজ বাবুঘাট থেকে শুরু করে বিভিন্ন ঘাটে বিসর্জন দেওয়া হয়।।
এবং দেখার মত ভিড় জমতে থাকে এই বিসর্জন দেখার জন্য বাবুঘাট চত্বরে, আর সবার মুখে একটাই কথা আসছে বছর আবার হবে, মা আমাদের আসবে ফিরে, দুঃখ ভরা বেদনা নিয়ে সবাই মাকে বিদায় দিলেন।