ঢাকা প্রতিনিধি।।
রাজধানীর মালিবাগ এলাকার একটি বাসা থেকে বস্তাবন্দি এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সুরভী আক্তার মাহফুজা (২১) নামে ওই নারীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন তার স্বামী আশিক মোল্লা।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে পুলিশ।শাজাহানপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মহসিন তালুকদার সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, খবর পেয়ে সোমবার রাতে মালিবাগ বকশিবাগ এলাকার ৪৩৯/এ নম্বর বাড়ির নিচ তলা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। একটি প্লাস্টিকের বস্তার ভেতর ভরে বস্তার মুখ বাঁধা অবস্থায় ছিল লাশটি।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, মরদেহের থুতনিতে, গলায়, বুক ও পিঠে লালচে জখমের চিহ্ন রয়েছে। এ ছাড়া ডান হাতের কনিষ্ঠ আঙুলে কাটা দাগ রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রোববার দিবাগত রাত ১টা থেকে সোমবার দুপুর ১টার মধ্যে যেকোনো সময় পারিবারিক কলহের কারণে স্বামী তাকে হত্যা করে থাকতে পারেন।
নিহত সুরভী আক্তারের বড় ভাই হৃদয় খান জানান, তাদের বাড়ি শরীয়তপুরে জাজিরা উপজেলার জয়নগর গ্রামে। বাবার নাম নুরুল হক খান। ৬ বছর আগে সুরভীর বিয়ে হয় আশিক মোল্লার সাথে। আশিক মোল্লা ঢাকার কেরানীগঞ্জে টেইলার্সে কাজ করতেন। সেখানে সুরভীও কাজ করতেন। মেহেদি হাসান নামে চার বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে তাদের।
তিনি জানান, দুই বছর আগেও স্ত্রীকে ব্যাপক মারধর করেছিলেন আশিক। তখন আশিকের সংসার করবেন না বলে জানালেও পরবর্তীতে আবার সংসার করতে রাজি হন সুরভী। এরপর থেকেই বাবা-মায়ের সঙ্গে এবং ভাই-বোনের সঙ্গে আর যোগাযোগ ছিল না সুরভীর। সোমবার দুপুরে পুলিশের মাধ্যমে তারা খবর পান। এরপর গ্রাম থেকে ঢাকায় এসে মালিবাগের ওই বাসায় এসে বস্তাবন্দি লাশ দেখতে পান।
এর আগে কেরানীগঞ্জ থাকলেও চলতি মাসের ১ তারিখে আশিক মালিবাগের ওই বাসায় ভাড়া ওঠেন। যেদিন ভাড়া উঠেছিলেন সেদিন রাতেই একমাত্র ছেলেকে তার দাদা-দাদীর কাছে পাঠিয়ে দেন। এরপর সুরভীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন আশিক। বালিশ চাপা দিয়ে অথবা কোনো কিছু খাইয়ে স্ত্রীকে হত্যার পর বস্তাবন্দি করে লাশ রেখে পালিয়ে যান তিনি। এ ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা।