নগর সংবাদ।।করোনা মহামারির মধ্যে কয়েক মাস পিছিয়ে নেওয়া মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় এবার পাসের হার বেড়ে হয়েছে ৯৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ। গতবার যা ছিল ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
পাসের হারের সঙ্গে বেড়েছে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যাও।
পাসের হার বেড়ে যাওয়া নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছেন, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা দুই লাখের বেশি বেড়েছে। কাজেই জিপিএ-৫ এর সংখ্যাও বেড়েছে।
‘পাসের হার যে বেড়েছে সেটার একটা কারণ হতে পারে যে- এবার পরীক্ষায় তিনটি বিষয়ে নিয়েছি, সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে নিয়েছি, প্রশ্নপত্রের বিকল্প অনেক বেশি ছিল। এসব কারণে আমাদের পরীক্ষার্থীরা অনেক বেশি ভালো করেছে অন্য সময়ের চেয়ে। ’
পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী একথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা গতবারও দেখেছি আমাদের আসন সংখ্যা অনেক ফাঁকা থেকে যায়। কাজেই সেখানে সমস্যা থাকবার কথা নয়। সকলেই যে উচ্চ মাধ্যমিকে যায় তা নয়, আমরা আশা করছি অনেকেই কারিগরিতে যাবেন, ডিপ্লোমা করবেন। এমনিতেই অনেক আসন সংখ্যা। কাজেই সমস্যা হবার কথা নয়।
সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়ার পরও ৬ শতাংশের মতো অকৃতকার্য হয়েছে- এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যদি সকলেই কৃতকার্য করার মতো অবস্থায় নিয়ে যেতে পারি সেটি আদর্শ হবে, তাই না কিন্তু অনেকেরই অনেক রকমের প্রতিবন্ধকতা থাকে, অনেক সমস্যা থাকে। কেউ পরীক্ষার সময় অসুস্থ হয়ে যায়, ভয় পেয়ে যায়, আমরা নিজেরাও জীবনের অনেক দূর পার করে এসেছি, আমরা জানি পরীক্ষা সব সময় এক রকম হয় না। এমনকি ভালো পড়াশোনা করেছে, ভালো প্রস্তুতি ছিল এরপরও অনেক সময় পরীক্ষা ভালো হয় না।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ফল ভালো হয়েছে আমরা খুব খুশি। কিন্তু এই ভালো করা মানেই আমাদের এ বছর শিক্ষার মান অনেক ভালো হয়েছে গেছে- এতো সরলীকরণ করাটা বোধ হয় ঠিক হবে না। আমাদের শিক্ষার মান নিশ্চয়ই অব্যাহতভাবে বাড়ছে, তবে এটা আমাদের আরও অনেক বাড়াতে হবে। আমাদের যেতে হবে আরও অনেক দূরে।
‘পরীক্ষায় পাসের হার বেড়েছে সেটা ভালো। এই সময়টায় অনেক চাপের মধ্য দিয়ে আমাদের পরীক্ষার্থীরা গেছে। পারিবারিক থেকে শুরু করে নানান ধরনের সমস্যা ছিল, কোভিডের কারণে বাড়তি অনেক চাপ ছিল। অনেক ট্রমার মধ্য দিয়েও গেছে যে পরিবারের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়- পরিজন বা পরিবারের কাউকে হারিয়েছে তারা। সেগুলোকেও বিবেচনায় নেওয়ার দরকার আছে। ’