বন্দরে একদিনে দুই নারীর অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। দুই নারীর মধ্যে একজন অজ্ঞাত, অপরজনের পরিচয় মিলেছে। তিনি হলেন গৃহবধূ শান্তি (৪২) । গত বৃহস্পতিবার নিখোঁজ হন তিনি।
নিখোঁজের ৪ দিন পর রোববার দুপুরে কেওঢালা এলাকায় অবস্থিত কামাল চেয়ারম্যানের ইটভাটা সংলগ্ন ডোবা থেকে শান্তি বেগমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত গৃহবধূ শান্তি বেগম সোনারগাঁ উপজেলা কাঁচপুর এলাকার মিজানুর রহমান মোল্লা’র দ্বিতীয় স্ত্রী।
নিহত শান্তির স্বামী মিজানুর রহমান মোল্লা জানান, ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কেওঢালা এলাকায় একটি হোটেলে বুয়া হিসাবে কাজ করতো শান্তি। প্রতিদিনের মতো গত বৃহস্পতিবার সকালে কাজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে রওনা হয় শান্তি। তার পর থেকে গত ৪ দিন ধরে বাড়িতে ফিরে আসেনি।
সম্ভাব্যস্থানে খোজাখুজি করে না পেয়ে রোববার সকালে আবুল কালাম নামে একজনকে বিবাদী করে সোনারগাঁ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে বাড়ি ফিরে যাচ্ছিলাম।
এসময় ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কেওঢালা এলাকায় কামাল চেয়ারম্যানের ইটভাটা সংলগ্ন ডোবায় বন্দর থানার পুলিশের উপস্থিতি ও মানুষের ভীড় দেখে পরে বাস থেকে নেমে ডোবার সামনে পৌঁছালে দেখি আমার স্ত্রী শান্তির লাশ ভেসে রয়েছে। পরে পুলিশ হাত-পা বাঁধা অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে।
তিনি অভিযোগ করেন পূর্বের মামলা মোকাদ্দমার জের ধরে আমার স্ত্রীকে নির্যাতনের পর হত্যা করে লাশ ডোবায় ফেলে দিয়েছে কাঁচপুর এলাকার ভাড়াটিয়া আবুল কালাম ও সাঙ্গোপাঙ্গোরা।
বন্দর থানার ওসি দিপক চন্দ্র সাহা জানান, রোববার পৃথক স্থান থেকে দুই নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। একজন বোরকা পরিহিত অজ্ঞাত নামা নারী। অপরজনের নাম শান্তি বেগম। তিনি বৃহস্পতিবার থেকে নিখোঁজ।
এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নিহত গৃহবধূ শান্তি বেগমের স্বামী মিজানুর রহমান। রোববার দুপুরে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কেওঢালা এলাকায় কামাল চেয়ারম্যানের ইটভাটা সংলগ্ন ডোবাতে লাশ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেন এলাকাবাসী। পরে কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেন।