বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে ভারত সরকারের আমন্ত্রণে আসাম সফরে এসেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নেতৃত্বে ২৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল। তারা মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কর্মসূচি ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক আয়োজনে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি আসাম ও মেঘালয়ের দর্শনীয় কিছু স্থানও পরিদর্শন করবেন।
শনিবার (১৬ জুলাই) বিকেলে ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে প্রতিনিধিদলটি। তারা কলকাতা হয়ে রাতে গৌহাটি বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখানে তাদের স্বাগত জানান আসাম সরকারের কর্মকর্তারা। অভ্যর্থনায় ছিলেন আসামে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের প্রতিনিধিরাও।
প্রতিনিধিদলে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমসের মবিন চৌধুরী (বীর বিক্রম), মাহবুব এলাহী (বীর প্রতীক), সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল, আবুল হাশেম, এম ফরিদুজ্জামান খান, মো. হারুন উর রশীদ, নাজমুল হাসান, গৌরাঙ্গ চন্দ্র দাস, হাজী আবদুল জলিল, শফিকুল বাহার মজুমদার, আলহাজ শরীফ উদ্দীন, মো. শাহজাহান, আবুল বাশার, মোহাম্মদ জামাল খাঁ, আনোয়ার হোসেন পাহাড়ি (বীর প্রতীক)।
তাদের সঙ্গে যুব প্রতিনিধি হিসেবে সফরে আছেন আবু বকর মো. আল আমিন, মৃণাল বণিল, সরদার মাহমুদ হাসান, যীশুময় দেব। প্রতিনিধি দলে সাংবাদিকদের মধ্যে আছেন অভিজিৎ ভট্টাচার্য, মো. জান্নাতুল ইসলাম, সুনীল সিংহ, শাহজাহান মোল্লা, আমজাদ হুসাইন (হুসাইন আজাদ) ও মোহাম্মদ সেলিম।
বাংলাদেশ ও ভারতের মৈত্রীপূর্ণ সম্পর্কের স্মারক এ সফরে মুক্তিযুদ্ধকালে আসামের মাটি ও মানুষের সহযোগিতার স্মৃতিচারণ করবেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। প্রতিনিধিদল আসামের মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্বশর্মাসহ সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে। এছাড়া আসাম সরকারের সৌজন্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনায়ও অংশ নেবে।
প্রতিনিধিদল কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী ভূপেন হাজারিকার সমাধিস্থল, শ্রীমন্ত শংকরদেব কলাক্ষেত্রসহ আসাম ও মেঘালয়ের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানও পরিদর্শন করবে।
প্রতিনিধিদলে থাকা বীর মুক্তিযোদ্ধা শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালে আসামের মানুষের ভূমিকা ছিল তাৎপর্যপূর্ণ। তাদের সহযোগিতা রক্তের আখরে লেখা থাকবে। আসাম সফরে আসতে পারা আমাদের জন্য আনন্দ এবং গৌরবের। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এ আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্টদের সাধুবাদ জানাতে হয়।
সফর শেষে আগামী ২০ জুলাই দেশে ফিরবে প্রতিনিধিদল।