গাঁয়েরর অশোক বলেছিলো রোজগার করতে শহরে যাবে।মনটা সায় দিলোনা,বারবার অভাবের তাড়নায় তাকে ছাড়তে বাধ্যহলেম। ভালোবাসায় অশোকের কোন কমতি ছিলোন্,ছিলো অভাবে মেলাতে কিনে দিতো প্রতিবছর লাল চুড়িঁ। সাধ ছিলো অশোকের অনেক,,,সাধ্যের বাহিরে বলে আমায় পূর্নিমাতে রাত্রি রে গাঁয়ের মেঠোপথে হাটতে বের হতো। মুরালী বাশিঁতে সুর তুলে কাধেঁ মাথা রেখে কখন তনুমন এককরে ঘুমের কোলে ঢলে পড়তাম অশোকের কোলে,,,,,
জিবনটা সুন্দর ছিলো,ছিলো দোহের মধুর ভালোবাসার ডোরি! শহরে গিয়ে কতনা কষ্টের জিবন ছিলো,রোজ চিঠি লিখে মাসে কয়খানা চিঠিতে ব্যক্ত ছিলো ভালোবাসার কাহ্ন। এমনি করে সময় কতক না যেতেই অশোোক চাকুরিতে যোগদিয়ে ভালো দিন কাটতে লাগলো। কাটতে লাগলো,,,ধীরেধীরে বেতন বাড়লো,টাকার অভাব কখন গুছিয়েগেলো।অশোক তা বুজতে পারিনি। কেটেছে মাঝে কতকবছর! বুজতে পেরেছি আমি! আমার চিঠিএখন আর মাসে কতবার ডাকপিয়ন ডাকেনা,,,,,
শুনেছি শহরের কোন নাম করা স্বর্ণব্যবসায়ী অশোক! ভালোবাসার কথা ভুলে গেছে,, ভুলে গেছে সেই প্রথম শহরের যাওয়ার সময় গাড়ি ভাড়ার জন্য যাওয়াটা বন্ধ হয়ে যেতো। সেদিন মায়ের দেয়া শেষ স্মৃতি টুকু কানের মারকি বেচেঁদিয়েছি অশোকে হাতে তুলে। ভুলে গেছে আমার সব স্মতিময় ভালো বাসার কাহন! কেমন আছো আশোক? আজো তেমনি বেচেঁ আছি,বসে আছি ভালোবেসে পথচেয়ে