ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেল রুটে ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি ও বগি বাড়ানোর দাবিতে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবি নারায়ণগঞ্জ শহর কমিটির উদ্যোগে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৭ টায় চাষাড়া রেল ষ্টেশনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবি নারায়ণগঞ্জ শহর কমিটির সভাপতি কমরেড আঃ হাই শরীফ।
বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবি নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি কমরেড হাফিজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা কমরেড শিবনাথ চক্রবর্তী, জেলা কমিটির সম্পাদক মন্ডলীর কমরেড বিমল কান্তি দাস, নারায়ণগঞ্জ শহর কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সুজয় রায় চৌধুরী বিকু, নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সদস্য কমরেড নূরুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ শহর কমিটির সদস্য কমরেড মৈত্রী ঘোষ প্রমূখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, অবিলম্বে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেল রুটে করোনা মহামারির আগের মত (১৬ জোড়া আপ-ডাউন) ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। ডাবল লাইন নির্মাণের কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে। নারী যাত্রীদের জন্য দুইটি বগি রাখতে হবে। যাত্রী সেবার মান বৃদ্ধি করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, দেশের মানুষ দ্রব্যমূল্যের কারণে যখন দিশাহারা তার মধ্যে সরকার আবার নতুন করে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি করে দেশবাসীকে মহাবিপদে ফেলেছে। এই সুযোগে বাজার সিন্ডিকেট ও বাস মালিকরা সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অনেক বেশি ভাড়া আদায় করছে।
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে বাসভাড়া ৫০ টাকার (সরকার নির্ধারিত ভাড়া অনুযায়ী) জায়গায় ৫৫ টাকা নিচ্ছে। দেশের বিভিন্ন যানবাহনে এই ভাড়া বৃদ্ধির বিরুদ্ধেও আন্দোলনে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা এখনো জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সরকারি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
নেতৃবৃন্দ ক্ষোভের সাথে বলেন, ইদানিং সকালে অফিস টাইমের ট্রেনটি কেন বন্ধ করা হোল তা জানতে চাই।
বক্তারা আরও বলেন, করোনা মহামারির আগে নারায়ণগঞ্জ থেকে দিনে ১৬ জোড়া ট্রেন এবং ১৬ জোড়া ট্রেন আসতো; এখন কেন মাত্র ৫ জোড়া যায়, ৫ জোড়া আসে?
অনতিবিলম্বে আবার ঢাকা যেত আগের মত ১৬ জোড়া ট্রেন (আপ-ডাউন) চালু করার দাবি জানাচ্ছি, অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। আজ থেকে কমিউনিস্ট পার্টির লাগাতার সভা-সমাবেশ অব্যাহত থাকবে।