নিজের ঘুমানোর ঘরে সিলিংয়ের সঙ্গে ঝুলছিল এক গৃহবধূর মরদেহ। পরে বাড়ির লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে থানায় খবর দেয়।
এরপর পুলিশ গিয়ে সেই মরদেহ উদ্ধার করে।
সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে সেই মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মৃত গৃহবধূর নাম রিতা বেগম (৩৫)। রিতা বেগম মহানগরীর চন্দ্রিমা থানাধীন ছোট বনগ্রাম উত্তর পাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী। এই দম্পতির ঘরে ১৮ বছরের মেয়ে রয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- স্বামীর ওপর অভিমান করে তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এরপরও তার মৃত্যুর কারণ নিশ্চিতের জন্য মরদেহটি ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে।
ওই গৃহবধূর স্বামী আনোয়ার হোসেনের দাবি রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতের যে কোনো সময় এই ঘটনা ঘটেছে। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার পর তার মেয়ে প্রাইভেট পড়তে যায়। এরপর রাত ৮টার দিকে বাসায় এসে তিনি দেখেন মেইন গেটে তালা দেওয়া।
বাইরে থেকে অনেক ডাকাডাকি করার পরও কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে প্রতিবেশী শরীফ মিয়ার সহযোগিতায় তালা ভাঙেন। তারা বাড়ির ভেতর ঢোকেন। এ সময় তার ঘুমোনোর ঘরে গিয়ে সিলিংয়ের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় স্ত্রী রিতা বেগমের মরদেহ দেখতে পান।
রাজশাহীর চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরান হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। এরপর মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। আজ সকালে সেই মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়। সেখানে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা মনে হচ্ছে। তবে বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। তাই মরদেহটি ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে।
ময়নাতদন্তে অন্য কিছু পাওয়া গেলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ঘটনায় থানায় মামালা হবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।