পটুয়াখালীর দশমিনা থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সহিদুল আলমের স্ত্রী সুমি আক্তার (৩০) গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে দশমিনা থানা সংলগ্ন এএসআইয়ের ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
বর্তমানে সুমিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) অনুপ দাস।
বাড়ির মালিক হারুন ফরেস্টার বলেন, আমার বাসায় দশমিনা থানার এএসআই সহিদুল আলম তার স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন। বিয়ের পর থেকে বাচ্চা না হওয়ার কারণে প্রায়ই দুশ্চিন্তা ও পাগলামি করতেন সুমি। এ নিয়ে অনেক চিকিৎসক ও কবিরাজ দেখিয়েও কোনো লাভ হয়নি। তবে সহিদুল তার স্ত্রীর প্রতি সব সময় সন্তুষ্ট ও পারিবারিক কোনো কলহ তাদের মধ্যে নেই। হঠাৎ করে গভীররাতে সুমি নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন। পরে সুমির স্বামী ও থানার পুলিশরা তাকে উদ্ধার করে দশমিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাক্তার মিঠুন চন্দ্র হাওলাদার জানান, সুমির শরীরের ৫০ শতাংশের বেশি পুড়ে গেছে। তাকে রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখান থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে সুমিকে।
এ ব্যাপারে দশমিনা থানার ওসি (তদন্ত) অনুপ দাস বলেন, এএসআই সহিদুলের পারিবারিক কোনো সমস্যা ছিল না। তার স্ত্রী এমনটা কেন করেছেন, তা এখনো জানতে পারিনি। বর্তমানে সুমি ঢাকার একটি হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।