সর্বশেষ গত শুক্রবার রাতে নবীগঞ্জ খেয়া ঘাটে নৌকা ডুবির ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন জিম , শাওন ও রিফাত নামের তিন কিশোর। তাদের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার খানপুর এলাকায়। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী অয়ন জানান, তারা কয়েকজন বন্ধু মিলে নবীগঞ্জ মেলা দেখতে যান।
নৌ কর্তৃপক্ষের চরম উদাসিনতার কারনে মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে হাজীগঞ্জ-নবীগঞ্জ খেয়াঘাট। টোল ফ্রি এ ঘাটে চলতি বছরেই ৮/৯ টি নৌকা ও ট্রলার ডুবির ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় একডজন যাত্রী। ট্রলার মালিক ও মাঝিদের স্বেচ্ছাচারিতা, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় এবং গাদাগাদী করে যাত্রী পারাপারকে এ সব দূর্ঘটনার জন্য দায়ী করছেন যাত্রীরা।
বাড়ি ফিরতে রাত ৯টার দিকে নবীগঞ্জ খেয়াঘাটে একটি ইঞ্জিন চালিত নৌকায় উঠেন। মাঝিকে নিষেধ করার পরও ছোট নৌকায় আরও ৮/১০ জন যাত্রী উঠান। নৌকাটি ছাড়ার পর পরই হেলেদুলে ডুবে যায়। ঘটনার পর নৌকার মাঝি আলমগীরকে আটক করে নৌ পুলিশ।
এ দিকে শুক্রবার রাতে নৌকা ডুবির ঘটনার পর শনিবার সকালে ঘাটে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই ও ভাড়া আদায়ের প্রতিবাদ করেন যাত্রীরা। এতে প্রায় আধা ঘন্টা নৌকা চলাচল বন্ধ থাকে।
যাত্রীরা জানান, নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান এ ঘাটে টোল ফ্রি ঘোষণা করেন। কিন্তু ইজারাদারের মতোই টোল আদায় কক্ষে বসে টোল আদায় করছেন ট্রলার মালিকরা ।
তাদের ব্যবহারও বেশ রুক্ষ বলে অভিযোগ করেন যাত্রীরা। ট্রলারগুলো ৫০/৬০ জন যাত্রী ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন হলেও প্রতি ট্রিপে ঠেসে ঠেসে ৪শ’ থেকে ৫শ’ যাত্রী উঠানো হয়।