অসুস্থ হয়ে সড়কে পড়ে থাকা সেই রুবেল এখন শহরের সেলিনা মেমোরিয়াল ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছে। ইতমধ্যে বেশ কয়েকটি টেস্ট সম্পন্ন হয়েছে। চিকিৎসক বলেছে, রুবেলের শারিরীক পুষ্টিহীণতাসহ কিডনি এবং প্রশাবের রাস্তায় ইনফেকশননের সমস্যা রয়েছে। তবে সঠিক চিকিৎসা ও তার সেবা করা গেলে আবারো সুস্থ্য হয়ে উঠবে সে।
জানা গেছে, রুবেলের বাবা মারা গেছে বহু আগেই। মা ঘর বেধেছে অন্যত্রে। বড় ভাই ছিল সেও মারা গেছে। এক বোন ছিল সেও বিয়ে করে স্বামীর সংসার নিয়েই ব্যস্ত। দূরসম্পর্কের যারা রয়েছে তাদের কাউকেই এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তাই এ দুনিয়ায় রুবেলের কেউ না থাকায় তার খাওয়া-দাওয়া সেবা এবং যত্নের দিকে অসহায় পড়েছে রুবেল।
অসুস্থ হয়ে সড়কে পড়ে থাকা সেই রুবেল এখন শহরের সেলিনা মেমোরিয়াল ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছে। ইতমধ্যে বেশ কয়েকটি টেস্ট সম্পন্ন হয়েছে। চিকিৎসক বলেছে, রুবেলের শারিরীক পুষ্টিহীণতাসহ কিডনি এবং প্রশাবের রাস্তায় ইনফেকশননের সমস্যা রয়েছে। তবে সঠিক চিকিৎসা ও তার সেবা করা গেলে আবারো সুস্থ্য হয়ে উঠবে সে।
জানা গেছে, রুবেলের বাবা মারা গেছে বহু আগেই। মা ঘর বেধেছে অন্যত্রে। বড় ভাই ছিল সেও মারা গেছে। এক বোন ছিল সেও বিয়ে করে স্বামীর সংসার নিয়েই ব্যস্ত। দূরসম্পর্কের যারা রয়েছে তাদের কাউকেই এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তাই এ দুনিয়ায় রুবেলের কেউ না থাকায় তার খাওয়া-দাওয়া সেবা এবং যত্নের দিকে অসহায় পড়েছে রুবেল।
এরপর থেকে তিনিই খাবার থেকে যাবতীয় প্রয়োজনীয় বিষয় দেখে যাচ্ছে। আর আমাকে বলায় আমার সাধ্য মত চেষ্টা করছি। এখন পর্যন্ত চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ড বয় নির্দেশনা দিয়েছি সকলেই তার যত্ন নিচ্ছে। তবে তার পাশে একজন লোক খুবই জরুরী। যেন তাকে সময় মত খাবার ও ঔষধ দিতে পারে।
শারিরীক ও মানসিকভাবে কিছু যত্ন ও সেবা দিতে পারে। স্থানীয়রা জানায়, একটি পত্রিকায় র্দীঘ বছর অফিস সহকারী হিসেবে কাজ করেছে রুবেল। ছোটবেলা থেকেই পরিবার ও সমাজে অবহেলীত হওয়ায় কর্ম করেই চলতো। বিভিন্ন সময় রৌদ, বৃষ্টি, ঝড়ে রাস্তা ঘাটে, রাজনীতিবিদ ও জনপ্রতিনিধিদের বাসায় গিয়েও পত্রিকা বিলি করতো রুবেল।
গত ৩রা নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে গলাচিপা এলাকার মসজিদের সামনে কোন এক মহিলা তাকে রেখে চলে গিয়েছিল। ওই রাতে তাকে দেখে উদ্ধার করেছিল টীম খোরশেদ। পরে এ টীমের অন্যতম সদস্য মো. আনোয়ার হাসপাতালে থাকা অবস্থায় খেয়াল রাখেন। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস।
আপন কেউ না থাকায় হাসপাতাল রুবেলকে পরের দিনই রিলিজ দিয়ে দেয়। তারপর অনেক চেষ্টার পরও তার জন্য থাকার কিংবা যত্ন নেয়ার কোন মানবিক মানুষের খোঁজ পাওয়া যায়নি। আর তাই আবারো সেই মসজিদের প্রাঙ্গণেই পড়ে থাকতে হয় রুবেলকে। স
বশেষ সেখান থেকে সাংবাদিকের মাধ্যমে ক্লিনিকে নেয়া হয়েছে। এদিকে, তার জন্য শুভাকাঙ্খিরা অনুরোধ করে বলেন, রুবেলের ভালো চিকিৎসার প্রয়োজন। ওর পাশে দাঁড়ানোর মত যদি কোন হৃদয়বান ব্যক্তি থাকেন সাড়া দিবেন। সে ক্লিনিকে থাকলেও জীবন যুদ্ধের সন্নিকটে আছে। তার এখন মানবেতর সময় কাটছে।
রুবেলের সহযোগীতায় পাশে দাড়ানোর জন্য মানবিক মানুষগুলোর কাছে আবেদন রইল।