বৃহস্পতিবার ৬ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ দুপুর ২:১৫
শিরোনামঃ
দেশজুড়ে অভিযান ওয়ারেন্টভুক্ত ১২০৭ সর্বমোট ১৭৪৮ জন গ্রেফতার করে পুলিশ চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহকে গণসংযোগে গুলি করে হত্যার চেষ্টা “হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশ-প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সঙ্গীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বাংলাদেশ আবৃত্তি ফেডারেশনের বিবৃ গোয়ালবাটীতে জমকালো আয়োজনে রাস উৎসবের উদ্বোধন। জাপানে জনশক্তি পাঠানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে ১৩টি সমঝোতা চুক্তি। স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ডোমারে পুরাতন ভূমি অফিস ভবনের নিলাম অনুষ্ঠিত রাজধানীতে স্ত্রীকে হত্যার পর বস্তায় লাশ ভরে পালিয়ে যান স্বামী আশিক মোল্লা। মেহেরপুরে বিএনপি ২ গ্রুপে দফায় দফায় সংঘর্ষ -শহর রণক্ষেত্রে পরিণত.। আগারগাঁও প্রগতি সরণিতে”স্বাধীনতা তোরণ”মুক্তি তোরণ’ ২ টি তোরণ উদ্বোধন করেন (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। শারদ উৎসবের পর, ৪৯ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা নিয়ে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন।

১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কলঙ্কময় দিন,কুখ্যাত মানবতাবিরোধীদের যারা লালন-পালন ও রক্ষার চেষ্টা করছেতাদেরও একদিন বিচার হবে- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

nagarsangbad24
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর, ১৪, ২০২২, ১:১০ পূর্বাহ্ণ
  • ১৫৯ ০৯ বার দেখা হয়েছে

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কলঙ্কময় দিন। মহান মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিনগুলোতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী, স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ও তাদের দোসররা পরাজয় নিশ্চিত জেনে বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে।

প্রধানমন্ত্রী শহীদ বুদ্ধিজীবীসহ সব শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তাদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করেন। তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী মানবতাবিরোধী- যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় এনেছে। বিচার চলমান এবং অনেকগুলো বিচারের রায় কার্যকর করা হয়েছে। এসব রায় কার্যকর করার মধ্যদিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মা শান্তি পেয়েছে। দেশ ও জাতি কলঙ্কমুক্ত হচ্ছে। এ কুখ্যাত মানবতাবিরোধীদের যারা লালন-পালন ও রক্ষার চেষ্টা করছে, তাদেরও একদিন বিচার হবে। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ বাঙালি জাতি চিরদিন গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।

শেখ হাসিনা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দীর্ঘ ২৩ বছরের পাকিস্তানি বৈষম্য ও শোষণের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে দেশের আপামর জনসাধারণকে সংগঠিত করে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে নিরীহ ও নিরস্ত্র বাঙালির ওপর হামলা চালিয়ে হত্যাযজ্ঞ শুরু করলে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। জাতির পিতার আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙালিরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় পাকিস্তানের দোসর জামায়াতসহ ধর্মান্ধ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। তারা রাজাকার, আল-বদর ও আল-শামস বাহিনী গঠন করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে সহায়তা করার পাশাপাশি হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ লুটতরাজ করে। বাঙালি জাতির বিজয়ের প্রাক্কালে তারা দেশের শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, শিল্পী, প্রকৌশলী, দার্শনিক ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদসহ দেশের মেধাবী সন্তানদের নির্মমভাবে হত্যা ও গুম করে।

‘তাদের মধ্যে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, মুনীর চৌধুরী, আনোয়ার পাশা, শহীদুল্লাহ কায়সার, গিয়াসউদ্দিন, ডা. ফজলে রাব্বি, আবদুল আলীম চৌধুরী, সিরাজউদ্দীন হোসেন, সেলিনা পারভীন, ড. জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতাসহ আরও অনেকে। বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করাই ছিল বুদ্ধিজীবী হত্যাযজ্ঞের মূল উদ্দেশ্য। স্বাধীনতাবিরোধীরা পরিকল্পিত নৃশংস এ হত্যাযজ্ঞের মধ্য দিয়ে পরাজয়ের জঘন্যতম প্রতিশোধ নেয়।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের এ পরাজিত শক্তি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে পরিবারের বেশির ভাগ সদস্যসহ হত্যা করে। এ জঘন্য হত্যাকাণ্ডের মধ্যদিয়ে তারা হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করে। ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার বিচারের পথ বন্ধ করে দেয়। মার্শাল ল’ জারির মাধ্যমে গণতন্ত্রকে হত্যা করে। স্বাধীনতা যুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাসকে বিকৃত করে।

‘সাম্প্রদায়িকতাকে উসকে দিয়ে দেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। মুক্তমনা, শিক্ষক, লেখক, সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ, সংখ্যালঘুদের হত্যা-ধর্ষণ-নির্যাতন চালায়। এ সন্ত্রাসী-জঙ্গিগোষ্ঠী ২০০১-২০০৬ পর্যন্ত দেশে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। তারা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচন বানচাল করতে দেশব্যাপী আগুন সন্ত্রাস চালায়, মানুষ পুড়িয়ে মারে এবং পরিকল্পিত নাশকতা চালায়। এখনো নানাভাবে তারা চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।’

শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসে প্রধানমন্ত্রী দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ’৭১-এর ঘাতক, মানবতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধী জামায়াত ও মৌলবাদীচক্র এবং গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তির যেকোনো চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করে দেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা এবং গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সবাইকে দায়িত্বপালনের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

এ বিভাগের আরও খবর...

পুরাতন খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০

Archive Calendar

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | নগর সংবাদ
Design & Developed BY:
ThemesCell