করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের ভেতর কীভাবে কুকুর প্রবেশ করতে পারে এমন প্রশ্নের পাশাপাশি ব্যাঙ্গ বিদ্রুপে মেতে উঠেছে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা। অনেকে হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছেন।
অভিযোগ উঠেছে, হাসপাতালটিতে প্রবেশ করতেই জরুরী বিভাগের কক্ষে জানালার সামনেই রয়েছে কুকুর-বিড়ালের অবাধ বিচরণ। যেকোন সময়ই তাদের মলমূত্রতে অপরিচ্ছন্ন হচ্ছে হাসপাতালের পরিবেশ। অপরিচ্ছন্নতায় বাদ পড়েনি রোগীদের বেডও। রোগীদের ব্যবহারে অধিকাংশ টয়লেটও রয়েছে অপরিচ্ছন্ন।
তাছাড়াও বিভিন্ন সময় আসা আহত রোগীদের রক্তের ছাপ এখনো দেখা যায়। অথচ হাসপাতালের ভেতরে এবং বাহিরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার জন্য নানা নির্দেশনা দেয়া থাকলেও তা মানছেনা অনেকেই। এতে করে স্বাস্থ্য ঝুকিঁতে পড়ছে এ হাসপাতালে সেবা নিতে আসা হাজারো রোগী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ৩০০ শয্যার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের পরিচালক আবুল বাশার বলেন, করোনা হাসপাতালের ভেতর এমনটা হওয়ার কথা না। হাসপাতালের বেডে কুকুর এটা খুব দু:খজনক বিষয়। অন্য কোনো বিষয় থাকতে পারে। তবে এরপরও আমরা এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেয়ার পাশাপাশি যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করব। সবাইকে সতর্ক হতে বলবো। হাসপাতালে এমন ঘটনা যাতে না ঘটে সেদিকে সবাইকে অবগত করা হবে।
এর আগেও এই হাসপাতালে করোনা ইউনিটের বেডের মধ্যে রোগীর বদলে বিড়াল ও কুকুরের বসে থাকার ছবি সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে সে সময় দু:খ প্রকাশ করেছিলেন সেই সময়কার হাসপাতাল সুপার গৌতম রায়। তিনি ওই সময় সবাইকে কঠোর জন্য হুঁশিয়ারিও করেছিলেন।
এদিকে সচেতন মানুষ মনে করেন, বর্তমানে র্কতৃপক্ষের অব্যবস্থাপনায় সরকারী হাসপাতাল এমন দশায় পরিণত হয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ সুদৃষ্টি দিলে এর সমাধান অসম্ভব কিছু নয়। প্রয়োজনে নিরাপত্তা কর্মী ও পরিচ্ছন্ন কর্মী নিয়োগ দিয়ে হাসাপাতালের আশপাশ সুরক্ষিত করা সম্ভব। কেননা জরুরী ভিত্তিতে কোন রোগী প্রবেশ করলেই প্রথমে অশৃঙ্খলভাবে পার্কিং করে রাখা রিক্সা ও বিভিন্ন যানবাহনের ফলে বাধার সম্মুখিন হতে হয়। হাসাপাতালের সুরক্ষা ও শৃঙ্খলা ফেরাতে লোক নিয়োগ হলে এর প্রতিকার সম্ভব।