রোববার ভোরে গাজীপুরের জয়দেবপুর থানাধীন লুটিয়ার চালা গুচ্ছগ্রাম এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে পিবিআই গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, শফিকুল ইসলাম গাজীপুরের ভিআইপি ২৭ নম্বর বাসের সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন। শিল্পী আক্তারের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে ২০১১ সালে বিয়ে হয়। পরে তারা টঙ্গী দত্তপাড়ায় আব্দুল রশিদের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ২০১৬ সালে ১৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে শিল্পী আক্তার তার খালা বেবী বেগমের বাড়ি থেকে নিজ বাড়ি ফেরার জন্য বের হয়ে নিখোঁজ হন।
পরে ২৩ সেপ্টেম্বর তাদের ভাড়া বাসার তালাবদ্ধ কক্ষ থেকে দুর্গন্ধ বের হলে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিল্পী আক্তারের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে। শিল্পীর খালা বেবী বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ হত্যা মামলাটি তদন্ত করে রহস্য উদঘাটন করতে না পেরে আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করে। পরে আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে দায়িত্ব দেয়। মামলাটি তদন্তকালে তথ্য ও প্রযুক্তির সহযোগিতায় পিবিআই শিল্পীর স্বামী শফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারের পর আসামি হত্যাকাণ্ডে জড়িত স্বীকারোক্তি দিয়ে বলেন, শিল্পী আক্তার মাদকসহ বিভিন্ন উচ্ছৃঙ্খল কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। এ কারণে তাদের মধ্যে প্রায় ঝগড়া বিবাদ হতো। ২০১৬ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর রাতেও তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়। ওই রাতে শিল্পী ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় গলা চেপে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে ঘরের দরজা বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যান বলে জানান শফিকুল।
আসামি শফিকুল ইসলামকে গাজীপুর আদালতে সোপর্দ করা হলে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দির পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।