১৮ই ফেব্রুয়ারি শনিবার, আজ মেয়েদের একটি বিশেষ দিন ,শিবরাত্রি ব্রত পালন করার দিন মন্দিরে মন্দিরে, সবাই এই দিনটি অপেক্ষায় থাকে ,কবে আসবে, কিন্তু মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির সামনে যে সকল এসএসসি চাকরিপ্রার্থী ও গ্রুপ ডি রাজ্য সরকারের চাকরি প্রার্থীরা ধরনায় বসেছেন ,কেউ আশিদিন ,কেউ ১০৭ দিন, কেউবা ৯০ দিন অবস্থান করছেন,আজ তারা সেখানেই শিবরাত্রি ব্রত পালন করলেন গণ্ডিকেটে, শিবের মূর্তি পুজো করলেন সকল মেয়েরা মিলে, আবার কেউ কয়েদিদের জেলখানা তৈরি করে তার ভিতরে প্রতিবাদ জানালেন, এবং মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে একটাই প্রার্থনা এই গণ্ডি দশা থেকে উদ্ধার করুন ,আমাদের প্রাপ্য চাকরি , কবে পাবো, এইভাবে কতদিন কাটাতে হবে, আমরাও আপনার বাড়ির সন্তান, তবে কেন আমরা চাকরি পাব না ,তাই আজ আমরা এই প্রতিবাদ করছি, অবিলম্বে গণ্ডি দশা থেকে আপনি উদ্ধার করুন।
আমাদের চাকরি দিন। ,, আমাদের বাবা-মায়ের মুখে দুটি অন্ন তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করুন, বাবা মায়েরাও সন্তানের কাছে কিছু পাওয়ার আশা করে.। একইভাবে এসএসসির চাকরি প্রার্থীর ছেলে মেয়েরা বলেন, এ ছাড়া আমাদের করার কি আছে, আমরা আজ আশি দিন এখানে ধরনাই বসেছি ,তবুও মুখ্যমন্ত্রীর সহানুভূতি নাই ,আমরা ওনার আশায় এই স্থানে দিন কাটাচ্ছি, আজ শিবরাত্রি, এই দিনটিতে ব্রত পালন করে মেয়েরা, আজ কিছু পাওয়ার দিন। তারা মন্দিরে গিয়ে ব্রত পালন করে, , সমস্ত বাড়ির ছেলে-মেয়ে ও বৌদিরা মন্দিরে গিয়ে পুজো দিচ্ছে, আর আমরা এখানে দিনের পর দিন ধরনায়, তাই আজকের দিন আমাদেরকে এখানে কাটাতে হচ্ছে ,সেই জন্য আজ আমরা শিবের ব্রত পালন করছি,
এই ধর্ণা মঞ্চে শিবের পূজো দিয়ে ও ডন্ডি কেটে, যাতে সমস্ত দুর্নীতিমুক্ত হয় এবং মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী আমাদের দিকে দৃষ্টিগোচর করেন, আমাদের দাবি মিটিয়ে নেয়, আমাদের ন্যায্য চাকরি ফিরিয়ে দেয় , আজ সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে মন্দিরে মন্দিরে মেয়েদের ভিড়, কিন্তু আমরা প্রতিদিনের মতো আজও এই ধরনা স্থলে, ঝড় বৃষ্টি রৌদ্রকে অপেক্ষা করে, তবুও মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর কোনরকম সহানুভূতি নাই, আমরা জানি দেব দেবীর ব্রত করলে কিছুটা পাপ পূর্ণ হয় এবং তাদের আশা ও আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হয়, দেব দেবী তাকিয়ে দেখেন, যদি এই পুজো করলে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণা জাগে, অসহায় ছেলে মেয়েদের জন্য.। তাই আমরা আবারও বলবো বেকারত্বের বেড়াজাল থেকে মুক্তি দিন আমাদের। আমাদের বাবা মায়ের মুখে একটু হাসি ফোটার জায়গা করে দিন।… কেন শিক্ষায় এত দুর্নীতি, কেন শিক্ষা দীক্ষা কে অবমাননা করা হচ্ছে…..।