রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মার্চেন্ট ওয়ার্কার্স (এম ডাব্লিউ) উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও সম্মাননা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
শামীম ওসমান বলেন, গতকাল রাত থেকে আমি মানসিকভাবে অস্থির। আমি চাপ নিতে পারছি না। ওরা ক্ষমতায় এসে আমার বাড়িতে হামলা করেছে, আগুন দিয়েছে। আমার দাদার বাড়ি বাইতুল আমান ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আমার ভাইয়ের খামারে গিয়ে গরুর দুধের বান কেটে ফেলেছিল। শুধুমাত্র আমার ভাই হওয়ার অপরাধে তাকে তুলে নিয়ে টর্চার করেছে। আমরা কিছু করিনি, মাফ করে দিয়েছি। নারায়ণগঞ্জে ভাষা সামলান। এমন কোনো কাজ করবেন না, যেন নারায়ণগঞ্জ অস্থির হয়।
তিনি বলেন, মিথ্যা আশ্বাস আমি দেই না। দেওয়ার মালিক আল্লাহ। ৯৬ সালে যখন আমরা ক্ষমতায় আসি, এমন কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই যেখানে আমি কাজ করিনি। বাংলাদেশের এমপিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কাজ আমি এনেছি। সবাই মিলে আমরা কাজ করেছি।
তিনি আরও বলেন, যুদ্ধ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে বুঝতে পারছি না। তাই আমি দুশ্চিন্তায় আছি। আমার স্বপ্ন এটাকে একটা হাব বানানো। মেডিকেল অ্যান্ড এডুকেশন হাব। ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ পাশ হয়েছে। আমি আশা করি এ এলাকাতেই এটা হবে। এটা লিংক রোডের পাশেই হবে।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশ হবে আইটি নির্ভরশীল। পুরো পৃথিবী হাতে মুঠোয় থাকবে। আমাদের এখানে শেখ কামাল আইটি ইনস্টিটিউটের কাজ শুরু হচ্ছে। সেটাও এ লিংক রোডের পাশে, টেকনিক্যাল কলেজ অ্যান্ড স্কুল। আমি মেডিকেল কলেজ ও শিক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে এ এলাকাটাকে সাজাতে চাই। যেন আমাদের সন্তানদের ঢাকা যেতে না হয়।
তিনি বলেন, আমার তো জীবন শেষ। আমি চলে যাবো। তোমরা থাকবে। আমরা তোমাদের সুন্দর জীবন দিতে চাই। শেখ হাসিনা তোমাদের ভবিষ্যৎ। আমাদের রাজনীতি করার কথা না। আমাদের ভাইদের মারা হয়েছে আমরা প্রতিশোধ নেইনি। আমরা মরলে কী আমাদের বাচ্চারা এতিম হয় না। যদি বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকতেন আমরা জাপানের মত উন্নত থাকতাম। ওরা আমাদের শৈশবকে মেরেছে যৌবনকে হত্যা করেছে।
আমরা মরদেহ নিয়ে কবরস্থানে যেতে পারিনি। মরদেহের মধ্যে গুলি করা হয়েছে। সেই মরদেহ চানমারীতে দাফন করেছি।