৯ ই এপ্রিল, রবিবার, সকাল 11 টায়, দক্ষিণ কলকাতা বাঘাযতীন পাবলিক হল, বাঘা যতীন বয়েজ স্কুলে , সকাল থেকেই সদস্যরা আসতে শুরু করেন, বেলা 11 টার সময়, জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও চট্টগ্রাম পরিষদের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে এবং শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এই সম্মেলন শুরু করেন। শুধু তাই নয় একটি সুন্দর জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন , এরপর একে একে শহীদ বিপ্লবী বাঘাযতীনের মূর্তিতে পুষ্পস্তবক দেন, এবং যেখানে সমস্ত শহীদদের একটি চিত্র তুলে ধরেছিলেন ,সবাই তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্প দিলেন।,
ভারত বাংলার মধ্যে একটা আলাদা বন্ধন তৈরি হলো আজকের দিনে ,কেউ ভোলেনি তার চট্টগ্রামকে ,কেউ ভুলেনি শহীদদের ,তাই আজ সবাই একত্রিত হয়েছেন ,সেই সকল বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে, শ্রদ্ধা জানানোর পর বিশিষ্ট অতিথিদের একে একে মঞ্চে আসন গ্রহণ করার কথা বলেন , তাদেরকে উত্তরীয় ব্যাচ ও পুষ্পস্তবক দিয়ে সম্মান জানান , এরপর মঞ্চে একটি জাতীয় সংগীত সমবেত কন্ঠে গাইলেন, তারপর একে একে অতিথিরা তাদের বক্তব্য তুলে ধরলেন, চট্টগ্রামের বিপ্লবীদের কথা, চট্টগ্রামের মানুষদের কথা এবং তাদের কথা, যারা দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন,
যারা অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছেন তাদের কথা, এর সাথে সাথে চট্টগ্রাম পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি সারা বছর কিভাবে মানুষের পাশে কাজ করে চলেছেন , কিভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে রয়েছেন সেই বক্তব্যও তুলে ধরলেন, কিন্তু করোনার জন্য তারা পুরোপুরি সবকিছু বন্ধ করে দিয়েছিলেন, কারণ মহামারী যেভাবে দেখা দিয়েছিল, সেখানে তাদের পক্ষে দুটি বছর কোন অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি, তাই নিজেদের আপ্রাণ চেষ্টায় এবং সকলের সহযোগিতায় এক মাসের মধ্যে এই অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা করেন এবং অনুষ্ঠানটি সুন্দরময় করে তুলেন সকলে মিলে, তারা জানান আমরা বেশ কয়েকটি প্রজেক্ট করার পরিকল্পনা করেছি, কিন্তু আমাদের আর্থিক অবস্থা অনেকটাই খারাপ হয়ে যাওয়ায়, ঠিকমতো এগোতে পারছি না ,আমাদের সময় লাগছে, কিন্তু আমরা যেগুলো পরিকল্পনা করেছি খুব শিগগিরই সেগুলো শেষ করব সকলের সহযোগিতা নিয়ে, এবং একটি হেলথ ক্যাম্প করার পরিকল্পনা করেছি.।
আজকের অনুষ্ঠানের বেশিরভাগই অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামের মানুষ যারা ওদের থেকে এসে ভারতে বসবাস করছেন কিন্তু কেউ ভুলেনি তাদের দেশের কথা বিপ্লবীদের কথা, তাই আজ একত্রিত হয়ে এই বার্ষিক অনুষ্ঠানে শহীদদের প্রতি সম্মান জানালেন,।। উপস্থিত ছিলেন সভাপতি স্বপন রায় বিশ্বাস, কার্যকরী সভাপতি পীজুস কান্তি সেন ,
সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় চৌধুরী, মুখ্য আহক বার্ষিক সম্মেলনের সুনীল সরকার ,বিশিষ্ট শিল্পী বাংলাদেশ খ্যাত প্রায় তিনশটির বেশি সিনেমায় সুর ও গান গেয়েছেন অশোক ভদ্র , , বিশেষ অতিথি জাতীয় মানবাধিকার সংগঠনের পশ্চিমবঙ্গের সেক্রেটারী উৎপল রায় , ডক্টর স্বপন বিশ্বাস, তুষার চৌধুরী, কবি সমর মন্ডল সহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ ও মহিলা বৃন্দরা, অনুষ্ঠানে মধ্যে ছিল গান, কবিতা ,আলোচনা সভা এবং একটি ছোট্ট সংস্কৃতি অনুষ্ঠান, তার সাথে সাথে অতিথিদের লাঞ্চের ব্যবস্থা, সেই চট্টগ্রামের শুটকি মাছ।, যা-চট্টগ্রামের মানুষদের একসময় জিভে জল আসত, প্রায় দুই থেকে আড়াই হাজার সদস্য এই সম্মেলন অংশগ্রহণ করেন, এবং একসাথে মিলিত হয়ে পুরুষ ও মহিলারা দুপুরের লাঞ্চ সাড়েন ….. এই দৃশ্য না দেখলে হয়তো কিছু একটা অভাব থেকে যেত,।। চট্টগ্রাম পরিষদ সকলকে কিভাবে কাছে করে নেয়, এবং তাদের বিভিন্ন জেলা শাখা কিভাবে মানুষের পাশে থাকে………। রিপোর্টার… কলকাতা থেকে শম্পা দাস ও সমরেশ রায়