শহরপ্রতিনিধি।।নারায়ণগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের ফুটপাতে হকার বসানোকে কেন্দ্র করে সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর ওপর হামলার ঘটনায় করা হত্যাচেষ্টা মামলা অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে পরবর্তীতে তারিখে সিআইডিকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্যও বলা হয়েছে। সোমবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে দুইপক্ষের আইনজীবীদের শুনানির পরিপ্রেক্ষিতে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সামসাদ বেগমের আদালত এই আদেশ দেন। এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি আইভীর ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় পিবিআইয়ের দেওয়া অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে নারাজির আবেদন করেছিলেন বাদীর আইন কর্মকর্তা জি এম সাত্তার। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার দুইপক্ষের শুনানির ভিত্তিতে আদালত বাদীপক্ষের নারাজির আবেদন গ্রহণ করে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। বাদীপক্ষের শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট মাহববুর রহমান মাসুম, অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন ও অ্যাডভোকেট আশিক। বিপরীতে আসামিপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহসিন মিয়াসহ অন্য আইনজীবীরা। বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন বলেন, ফুটপাতে হকার বসানোকে কেন্দ্র করে সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছিল। পরে সেই মামলায় পিবিআই আদালতে অভিযোগ দেয়। কিন্তু সেই অভিযোগে বাদীপক্ষ সন্তুষ্ট হতে পারেনি। তাই আদালতে নারাজি আবেদন করা হয়। সেই নারাজির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আমাদের নারাজির আবেদন গ্রহণ করে মামলাটির অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। সেইসঙ্গে পরবর্তী তারিখে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে হকার উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে ২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও মেয়র আইভীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। দুইপক্ষের সংঘর্ষে আইভীসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। ঘটনার পর শামীম ওসমানের অনুসারীদের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় অভিযোগ দেন সিটি মেয়র। অভিযোগটি প্রথমে সাধারণ ডায়েরি হিসেবে রেকর্ড করা হলেও ঘটনার ২২ মাস পর আদালতের নির্দেশে মামলা হিসেবে গ্রহণ করে পুলিশ। মামলায় শামীম ওসমানের অনুসারী ৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় ৯০০-১০০০ জনকে আসামি করা হয়। মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই। দীর্ঘসময় তদন্ত শেষে গত ২৩ নভেম্বর অভিযোগপত্র আদালতে জমা দিয়েছিলেন তদন্ত কর্মকর্তা।