জামালপুরে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ৪ জন স্কুলছাত্রকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নির্যাতনকারী পৌর কৃষকলীগের সহ-সভাপতি শেখ মোহাম্মদ রুকন ও তার সহোদর শেখ মোতালেবকে আটক করেছে পুলিশ।
নির্যাতনের শিকার চার স্কুলছাত্র হলো – রায়হান, জোবায়ের, রাহাত ও লিমন। তারা বগাবাইদ উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণীর ছাত্র।
জামালপুর সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) নূর মোহাম্মদ ঘটনার সত্যতা ও দুজনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, জরুরিসেবা নম্বর ৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পাই বগাবাইদ এলাকায় ৪ জন কিশোরকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করা হচ্ছে। তাৎক্ষণিক পুলিশ ফোর্স পাঠিয়ে নির্যাতিতদের উদ্ধার করে নিয়ে আসি। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। নির্যাতিতদের পক্ষে অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আজ বেলা ১১টায় রায়হান তার সহপাঠীদের নিয়ে পাশের এলাকা মনিরাজপুর খেজুরতলা মাঠে ফুটবল খেলতে যাচ্ছিল। এ সময় পৌর কৃষক লীগের সহ-সভাপতি শেখ রুকনের ছেলে বুলবুল তার ৫/৬ জন বন্ধু নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটে। আশপাশের লোকজন এসে তাদের সরিয়ে দেন।
এরপর রায়হান তার বন্ধুদের নিয়ে আজাদ সরকারি বিদ্যালয় মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। তারা ফুটবল খেলার সময় শেখ রুকনের ভাই শেখ মোতালেবের নেতৃত্বে ৭/৮ জন গিয়ে স্কুল ছাত্র রায়হান, জোবায়ের, রাহাত ও লিমনকে অটোরিকশায় তুলে মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে তাদের আজাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে পেটানো হয়।
খবর পেয়ে নির্যাতিত স্কুলছাত্রদের অভিভাবকরা ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ওপরও হামলার ঘটনা ঘটে। পরে ৯৯৯ এ ফোনে দিলে জামালপুর সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৪ ছাত্রকে উদ্ধার করে।
এ সময় নির্যাতনের অভিযোগে পৌর কৃষকলীগের সহ-সভাপতি শেখ মোহাম্মদ রুকন এবং তার সহোদর শেখ মোতালেবকে আটক করে পুলিশ।
জামালপুর জেলা শিশু সুরক্ষা কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, গাছের বেঁধে শিশুদের বেদম প্রহার আমাদের শিশু আইন এবং শিশু রক্ষা নীতিমালা এবং জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদের পরিপন্থী। এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যে ঘটনা ঘটেছে এটা কেউ প্রত্যাশা করে না। আমরা এই ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।