বর্তমানে মেধাবীরা দেশেই কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (৫ জুলাই) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে সিলেট-৩ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, দেশে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নের ফলে এবং দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগের কারণে মেধাবীরা দেশেই এখন কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছে।
মেধাপাচারের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল সব দেশ থেকেই মেধাপাচার হয়ে থাকে। তারপরও সরকারের নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও নানা কার্যকর পদক্ষেপ কারণে দেশের মেধাপাচার নিয়ন্ত্রিত পর্যায়ে রয়েছে।
তিনি বলেন, সব সেক্টরে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা, নতুন নতুন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ফলে বাংলাদেশের মেধাপাচার অনেকটাই রোধ হচ্ছে। স্ব স্ব ক্ষেত্রে মেধাবীদের মূল্যায়নে সরকারের পদক্ষেপ প্রশংসার দাবি রাখে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ, মেধাবীদের বৃত্তি, উপবৃত্তি প্রদান, সব নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মেধার প্রাধান্য, নতুন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করে মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষালাভের সুযোগ সৃষ্টি, রাষ্ট্রীয়ভাবে বিশিষ্ট ও মেধাবীদের বিভিন্ন পদক, পুরস্কার ও কর্মসংস্থানের মাধ্যমে মেধাবীদের সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করছে বর্তমান সরকার।
বাংলাদেশের দ্রুত বিকশিত ও আধুনিকায়ন ভিত্তিক উন্নয়নের গতি অব্যাহত রাখতে মেধাপাচার রোধ গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, মেধাবী, দক্ষ ও উদ্ভাবনী প্রতিভা সাধারণত কাঙ্ক্ষিত সুযোগ-সুবিধা, অবকাঠামোগত পরিবেশের অভাবে ভিনদেশে স্থানান্তর হয়। ফলে দেশের অগ্রগতি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হয়। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান, পরিবেশ, বৈশ্বিক গ্রহণযোগ্যতা, লেখাপড়ার পাশাপাশি কাজ ও নাগিরকত্বসহ স্থায়ী বসবাসের সুযোগ হলো মেধাপাচারের অন্যতম কারণ। সরকার এ বিষয়ে সচেতন এবং অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে মেধাপাচার রোধে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।