নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ির ধাক্কায় ভয়াবহ সড়ক র্দূঘটনা ঘটেছে। গাড়ির চালক জাহাঙ্গীর আলমসহ ৩ জন নিহত হয়েছেন। এসময় গাড়ির ধাক্কায় আনন্দ পরিবহনের যাত্রীবাহি বাস, একটি প্রাইভেটকার, তিনটি ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা দুমড়ে মুচড়ে যায়। এতে আহত হয় আরও ৭ জন।
নিহত অপর দুইজন হলেন, পথচারী শাহাবুদ্দিন শাবু ও রিকশা চালক সিরাজুল ইসলাম। এছাড়াও ব্যাটারী চালিত অটোরিকশার ৭ যাত্রী আহত হয়েছেন।
আহতদের আশপাশের লোকজন উদ্ধার করে শহরের খানপুরে অবস্থিত ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তাদের অবস্থার আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদিকে দুর্ঘটনার পর থেকে শহরের চাষাঢ়া ও ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংকরোডে যানজটের সৃষ্টি হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া রিকশা চালক সিরাজুল ইসলামের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে জানান, তার মরদেহ ঢামেক মর্গে রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ফতুল্লার বিসিকে একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়ার পথে হাজিগঞ্জ ফায়ার স্টেশন এর একটি গাড়ি চাষাড়া শান্তনা মার্কেটের সামনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আনন্দ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসকে সজোরে ধাক্কা দেয়। বাসটি সামনে থাকা একটি প্রাইভেট কারকে ধাক্কা দিলে প্রাইভেটকার ধাক্কা দেয় কয়েকটি অটোরিকশাকে। এতে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে জাহাঙ্গীর হোসেন ও পথচারী সাহাবুদ্দিন মারা যায়। আর আহত সিরাজুল ইসলামকে হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যায়।
এ ব্যাপারে ফায়ার সার্ভিস ঢাকা সদর দপ্তরের উপ-পরিচালক আক্তারুজ্জামান জানান, কী কারণে তাদের গাড়ির চালক জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যু হয়েছে তা ময়না তদন্তের প্রতিবেদনের পর নিশ্চিত করে বলা যাবে।
তবে চলন্ত গাড়িতে চালক জাহাঙ্গীর আলম স্ট্রোক করে মারা গেছেন বিষয়টি গাড়িতে তার সঙ্গে থাকা অপর আরেক কর্মী জানিয়েছেন।