নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. আমির খসরু বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এর আগে শনিবার (২৯ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাংরোড এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
মুক্তির পর নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশ কোনো কারণ ছাড়াই লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ ও গুলিবর্ষণ করে। আমাদের বহু নেতাকর্মী এতে আহত হন। আমাকেও মারধর করে পুলিশ। পরে আমাকেসহ পাঁচজনকে আটক করে নিয়ে এলেও এখন ছেড়ে দিয়েছে। বাকিদেরও ছেড়ে দেবে বলে পুলিশ বলেছে।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. আমির খসরু বলেন, কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি; কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল শুধু। বিএনপির আটক বাকি নেতাদেরও খুব শিগগির মুক্তি দেওয়া হবে।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা মহাসড়কে জড়ো হতে চাইলে পুলিশ তাদের লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় বিএনপি নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ অন্তত ৩০ রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে। এসময় বিএনপির পাঁচ নেতাকে আটক করা হয়।
আটকদের মধ্যে ছিলেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদর থানা বিএনপির সভাপতি আনোয়ার প্রধান, মহানগর যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক সাগর প্রধানসহ পাঁচজন।