২৯ শে সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেল চারটে ,এই থিমের শুভ সূচনা করেন, প্রতি বছরই হাজরা পার্ক পুজো কমিটি নতুন ভাবনা নিয়ে আসেন এবং দর্শকদের অবাক করে দেন। এ বছরও তাই অটোচালক ভাইদের নিয়ে এমন একটি ভাবনা এনেছেন যা আগে কখনো হয়নি। এই থিমের উন্মোচন করলেন মাননীয় কৃষিমন্ত্রী রাজ্য সরকার শ্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়,
উপস্থিত ছিলেন হাজরা পার্ক পুজো কমিটির যুগ্ম সম্পাদক সায়ন দেব চ্যাটার্জি এবং অটোরিকশা চালক ভাইয়েরা ও ক্লাবের সদস্যরা, এই থিম লঞ্চের পর ,পুজো কমিটি ১০ জন অটোচালক ভাইদের হাতে সম্মান তুলে দেন মাননীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এর হাত দিয়ে। ১০ জনকে উত্তরীয় পরিয়ে এবং হাতে একটি করে দুর্গার মূর্তি তুলে দেন, সংক্ষিপ্ত বক্তৃতার মধ্য দিয়ে অটোচালক ভাইরা বলেন, এইভাবে সম্মান আগে কখনো কেউ দেয়নি। তবে আজ হাজরা পার্ক পুজো কমিটি যেভাবে আমাদের সম্মান দিলেন,
এবং মাননীয় মন্ত্রী আমাদের হাতে সম্মান দিয়ে আমাদের মনোবলকে আরো শক্ত করে দিলেন, এবং আমাদের ভাবনা নিয়ে পুজো কমিটি যেভাবে সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছেন আমরা কৃতজ্ঞ, এর সাথে সাথেই মিডিয়া বন্ধুদের কাছে হাজরা পার্ক পূজা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক সায়ানদেব চ্যাটার্জী বলেন, কলকাতা আনন্দেশ্বর যা অতীতে কিছুটা সহজ সরল ছিল কিন্তু যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য বর্তমানে পরিবর্তনশীল এবং ক্রমাগত বিকশিত হচ্ছে। তাই আমরা এবারের ভাবনাটা এনেছি সেই সকল মানুষদের কথা ভেবে যারা দিনরাত্রি পরিশ্রম করে পরিবার বাঁচিয়ে চলেছেন,
পরিবারের মুখে অন্নযোগাচ্ছেন, শুধু তাই নয় ,আমাদেরকে দিনরাত্রি সেবা দিয়ে চলেছেন। জল ঝড় বৃষ্টি রোদ্র কোন কিছুই বাধা মানেনি ১৯৪২ সালে তৎকালীন কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র সি আর দাস এর সিইও সুভাষচন্দ্র বসুর নির্দেশনায় কলকাতা মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের সহায়তায় এই পুজো শুরু হয়েছিল, এই পুজো সাধারণ জনগণ, সুবিধা বঞ্চিত, অনগ্রসর শ্রেণী এবং হরিজনদের জন্য উন্মুক্ত ছিল , এর আগে এই পুজো ভবানীপুর অনুষ্ঠিত হতো, যা 1945 সালে হাজরা পার্কে স্থানান্তরিত হয়েছিল। অনগ্রসর শ্রেণীর লোকেরা অবাদে অংশগ্রহণ করতে পারত, এবং এখানে কোনরকম বাধা-নিষেধ ছিল না সকলেই অংশগ্রহণ করতে পারতো এবং ভোগ প্রদান করতে পারত, সকল শ্রেণীর ছেলেমেয়েরা এসে আনন্দ উপভোগ করত, আস্তে আস্তে যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে এই পুজো একটু আলাদা রূপে মানুষের সামনে উঠে এসেছে। পুজোর সামঞ্জস্যকে লক্ষ্য করে প্রতিমার রূপ দেওয়া হয়েছে।, আজকে অটোচালক ভাইয়েরা সম্মান পেয়ে একটা কথাই বললেন ,আমরা যেমন সম্মান পেয়েছি ,তেমনি যেন হাজরা পার্ক পুজো কমিটি, বহু সম্মানে ভূষিত হয় ,এমনকি এশিয়ান পেন্টস ছিনিয়ে নিতে পারে । এই কামনা করি। আর পূজা উদ্যোক্তারা যেন আমাদের মতো আরও নতুন নতুন ভাবনা নিয়ে আসতে পারে। পুজো ক’দিন দর্শকদের আনন্দ দিতে পারে।