হাজীগঞ্জ এলাকায় ব্যবসায়ী আরিফের বসত গৃহের তালা ভেঙে দুর্ধর্ষ চুরি ! থানায় অভিযোগ
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নারায়ণগঞ্জ জেলা ফতুল্লা থানাধীন হাজীগঞ্জ এলাকার সরকারি প্রাইমারি স্কুল সংলগ্ন মৃত মোঃ হাবিবুল্লাহর ছেলে ব্যবসায়ী মোঃ আরিফুর রহমান আরিফ (৪৫) এর বসত গৃহের তালা ভেঙে আলমারিতে রাখা ব্যবসার গচ্ছিত প্রায় ৪ লক্ষ ২৩ হাজার ৫ শত নগদ টাকা এবং স্ত্রীর ব্যবহত ৫ ভরি ৮ আনা ওজনের স্বর্ন গয়না যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫ লক্ষ ৯৬ হাজার ৬ শত ৬টাকার গহনা ও মূল্যবান জিনিস পত্র রাতের আঁধারে দুর্ধর্ষ চোরের দল চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। চুরির বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। ঘটনার সূএে যানা যায় যে, মোঃ আরিফুর রহমান আরিফ গত ৫ জানুয়ারী তার বসত বাড়ির ২য় তলায় নিজ গৃহে তালাবদ্ধ করে বন্দরে স্ত্রী সহ তার শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে যান। বেড়াতে গিয়ে আরিফ প্রায় সময় দিনের বেলা বাড়ি এসে সব কিছু দেখাশোনা ও খোঁজ খবর নিয়ে থাকেন। ৬ জানুয়ারি সে তার শ্বশুর বাড়ি চলে গেলে ৭ জানুয়ারি সকালে ফোনের মাধ্যমে সংবাদ পান তার গৃহের তালা ভেঙে কে বা কাহারা ঘরের মালামাল লন্ডভন্ড করে জিনিস পত্র চুরি করেছে। এ সংবাদ পেয়ে শ্বশুর বাড়ি হতে আরিফ চলে এসে দেখতে পায় ঘরের মূল দরজার তালা ভাঙ্গা। ঘরে প্রবেশ করে সোকেছ,আলমারি ও ওয়ারড্রবের ড্রয়ার ভাঙ্গা ও খোলা দেখেন। এবং দামী জিনিস পত্র ভাংচুর ও জিনিস পত্র এলোমেলো অবস্থায় পড়ে আছে । সে খুজে দেখতে পায় আলমারি ও ওয়ারড্রবে রাখা তাঁর ব্যবসায়িক প্রায় ৪ লক্ষ ২৩ হাজার ৫শত টাকা ছিলো তাহা নেই। সেই সাথে ৫ ভরি ৮ আনার স্বর্ণালংকার নেই। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫ লক্ষ ৯৬ হাজার ৬ শত ৬টাকা। এ ছাড়া দামী পোষাক ও অন্যান্য জিনিস যার আনুমানিক মূল্য ৭ হাজার ৫ শত টাকার মালামাল দূর্ধর্ষ চোরের দল তালা ভেঙে চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যায়। এছাড়াও ঘড়ে থাকা মূল্য বান জিনিস পত্র ভাংচুর করে যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩,০০,০০০/- টাকার ক্ষতিসাধন করে বলে জানা যায়। ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যবসায়ী আরিফ বলেন, আমার ধারনা বাড়ি ফাঁকা পাইয়া ৭ জানুয়ারী রাতের আঁধারে অতি সঙ্গোপনে ও কৌশলে আমার বসত বাড়ির তালা ভাঙ্গিয়া আমার বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করিয়া মালামাল ভাংচুর করিয়া আমার নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মূল্য জিনিস পত্র চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যায়। আমি এসে সকলের উপস্থিতিতে এ পরিস্থিতি দেখে ফতুল্লা থানাকে ফোনে জানাইলে থানার কতব্যরক্ত এ.এস.আই আতিকুর রহমান আমার বাসায় উপস্থিত হইয়া পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা দেখিয়া যান। পরবর্তীতে চুরির বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। আমি চাই এ সকল চোরদের পুলিশ প্রশাসন দ্রুত গ্রেফতার করে আমার মালামাল উদ্ধারে সহযোগিতা করবে এবং আইনী ভাবে শাস্তির ব্যবস্থা করবেন।