সোমবার (৮ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার আবুতোরাব বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় আহতরা হলেন মায়ানী ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি অহিদুল ইসলাম (৩৮), ছাত্রলীগ নেতা ইমাম হোসেন ইমন (২০) মায়ানী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শহীদুল ইসলাম (৪০), মায়ানী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাঈন উদ্দিন রিয়াদ (২০), মায়ানী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি ইব্রাহিম খলিল বাপ্পী (৩০), ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম-সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রুবেল (৩৬), ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদস্য রাকিব হোসেন, মায়ানী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম-সম্পাদক ফাহাদ উদ্দিন রনি (২২), ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম-সম্পাদক ফয়সাল হোসেন (২২), যুবলীগ নেতা কামরুল হাসান সুমন (৩৫), সাজ্জাদ হোসেন অপু (২৭) ও ফয়সাল হোসেন (২৮)। আহতদের মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়েছে।
এদের মধ্যে ইমনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মায়ানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কবির আহম্মদ নিজামী অভিযোগ করে বলেন, ‘বিকেলে আমাদের নবনির্বাচিত এমপি মাহবুব উর রহমান রুহেল ভাই আবুতোরাব বাজারে নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে আসেন। এসময় নেতাদের কর্মীরা উনাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। তিনি চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু বুঝে ওঠার আগে স্থানীয় ফারুকের নেতৃত্বে অতর্কিত হামলা চালায়।
এতে প্রায় ১১ জন আহত হয়েছে। আহতের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’ তবে হামলায় নেতৃত্ব দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন মায়ানী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক। মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক এরশাদ উল্লাহ জানান, কয়েকজন শরীরে একাধিক জায়গায় জখম নিয়ে হাসপাতালে আসেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।