আজ ৩১শে জানুয়ারী বুধবার, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায়, পার্ক সার্কাস ময়দানে ২৭শে জানুয়ারী মিলন উৎসবের শুভ সূচনা হয়। ২৭শে জানুয়ারী থেকে ৩১শে জানুয়ারী পর্যন্ত, এই মেলা প্রতিদিন দুপুর ১১ টা দিকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা । ওদের দেখার সুবিধার্থে, এই মেলার মূল উদ্দেশ্য হলো, সকলের সাথে মেল বন্ধন ঘটানো, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও এই পার্ক সার্কাস ময়দানে প্রায় 300 র বেশি ষ্টল নিয়ে মেলা বসে।
৩১ শে জানুয়ারী এই মেলার শেষ দিন, দূর দুরান্ত থেকে বিক্রেতারা এই মেলায় অংশগ্রহণ করে ,তাদের নিজস্ব হাতের তৈরি জিনিস নিয়ে, শুধু তাই নয় এই মেলায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের হাতের কাজ, কুটির শিল্প, এছাড়াও রয়েছে স্বাস্থ্য শিবির, সাইবার সিকিউরিটি ,কেরিয়ার কাউন্সিলিং, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগিতা,
এই মেলায় অংশগ্রহণ করেছেন নদীয়া ,পুরুলিয়া ,24 পরগনা, কুচবিহার ,বর্ধমান ,জলপাইগুড়ি, মেদিনীপুর,বীরভূম ,বাঁকুড়া প্রভৃতি। তাদের রয়েছে হাতের তৈরি শাড়ি, পাঞ্জাবী, পাজামা, চুড়িদার, এছাড়াও হাতের তৈরি খাবার, আচার, আনন্দ দিতে রয়েছে নাগরদোলা, কয়েকদিন ধরে মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিভিন্ন শিল্পীর গান ,পুরুলিয়া ছৌ নৃত্য, ছোটদের প্রতিযোগিতা ইত্যাদি, ওর পরিবেশের মধ্য দিয়ে এই মেলা জমে উঠেছিল, তাতে আরেকজনের মিলন বন্ধন ঘটেছে,
সংক্ষিপ্ত কথার মধ্য দিয়ে বিক্রেতারা জানান, আমরা সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ, তারা আমাদের কে এরকম একটি সুযোগ করে দেয়ার জন্য, যদি সুযোগ করে না দিত আমরা হয়তো এত দূর থেকে এসে এই ধরনের মেলায় অংশগ্রহণ করতে পারতাম না। আমরা যে কষ্ট করে আসি এবং থাকি, মেলা এত কম সময় হলে আমাদের অনেকটাই অসুবিধে হয় কিন্তু করার কিছু নেই সরকার যেভাবে নিয়ম করবে না আমাদেরকে মেনে নিতে হবে তবে আমরা এটুকুই বলবো,
যদি মেলাগুলোকে আরোএকটু বাড়ানো যায় , আমরা আরো নতুন কিছু তৈরি করতে পারতাম এবং মানুষের সামনে তুলে ধরতে পারতাম, বহু দূর দূরান্ত থেকে আসি এবং এই সকল জিনিস আমাদের বংশ পরস্পরায় তৈরি হয়ে আসছে, গ্রাম বাংলার মানুষ এর উপর নির্ভর শীল, সবার পরিবার চলে, তাই সকলেই চাই, বাইরে গিয়ে একটু যদি ভালো বাজার পায় ,
কারণ জিনিসের দাম এতটাই বেশি ,হটাৎ করে দু-একদিনের মেলায় কেনা সম্ভব নয়, কারণ তবুও আমরা বাজার পেয়েছি , মেলাটা আরো বেশিদিন হলে, হয়তো আরো বেশি বাজার পেতাম, আমাদের বিক্রি বাড়তো,
একটাই অনুরোধ করব এর পরের বাড়ি যদি মেলার দিন একটু বাড়ানো যায়। মেলা মানে দেখার ঐতিহ্য, মেলা মানে সুন্দর সুন্দর জিনিসের প্রদর্শনী, মেলা মানে নতুন জিনিস খুঁজে পাওয়া, মেলা মানে এক দেশের মানুষের সাথে আরেক দেশের মানুষের মিলন ঘটানো। বক্তৃতার মধ্য দিয়ে মেলা কর্তৃপক্ষ জানালেন, আমরা খুশি, যে এবারে অনেক বেশি স্টল দিতে পেরেছি, এবং বিভিন্ন জায়গা থেকে বিক্রেতারা তাদের হাতে জিনিস নিয়ে এসে বসেছেন। সকলে মিলে আনন্দ উপভোগ করেছে, কৃতজ্ঞ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে, কৃতজ্ঞ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কাছে। কৃতজ্ঞ যাহারা দূর দূরান্ত থেকে এসে আমাদের এই মেলায় অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং তাদের জিনিস দর্শকদের কাছে তুলে ধরেছিলেন, সেই সকল বিক্রেতাদের কাছে।