পশ্চিম লামাপাড়ায় আবু গং এর দাবীকৃত টাকা না পাওয়ায় রবিউলকে মারধর, দোকান ও বসতবাড়িতে তালা
নিজস্ব প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম লামাপাড়ার বাসিন্দা মৃত. শামসুদ্দিনের ছেলে রবিউল (৪৭) এর কাছে জমি বিক্রির ১৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন তারই সহোদর ভাই আবু মিয়া(৪৯) গং। আবু মিয়ার দাবীকৃত চাঁদা না দেওয়ায় রবিউলকে মারধর করে প্রাণনাসের হুমকি দেয় এবং সেই সাথে বিক্রিত জমির দোকানঘর সহ রবিউলের অটোরিকশা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলা করে অবৈধভাবে দোকানে তালা লাগিয়ে দেয়। অসহায় রবিউল ভাইদের সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণনাসের ভয়ে স্ত্রী ও ২ কন্যা সন্তানকে নিয়ে প্রায় দিশেহারা। তথ্যসূত্রে জানা যায়, রবিউলের বাবা শামসুদ্দিন মৃত্যুকালে ৫ ছেলে ১ মেয়ে ১ স্ত্রী রেখে যান। সন্তানরা হলেন- রাজ্জাক মিয়া(৫৫),এছেক মিয়া(৫৩),তারু মিয়া(৫১),আবু মিয়া(৪৯), রবিউল(৪৭), কন্যা মিনারা বেগম ও স্ত্রী রাহেলা খাতুন। পিতার মৃত্যুর পর পৈতৃক ওয়ারিশ সূত্রে ১.২৭ শতাংশ এর মা রাহেলা খাতুনের থেকে সাফ কবলামূলে ১ শতাংশ সহ মোট ২.২৭ শতাংশের মালিক হন। মায়ের ক্রয়কৃত জমি নিয়ে কিছুদিন বিরোধ থাকলেও এলাকাবাসীর মাধ্যমে এক পর্যায়ে বিরোধের মীমাংসা হয়। এতে কিছু জমি ভাইদের দখলে থাকায় ভাইদের সাথে কোন বিরোধ না করে ভোগদখল করেন ২.২০ শতাংশ। উক্ত জমিতে ৪টি দোকান ও দোকানের উপরে থাকার জন্য বসতবাড়ি নির্মাণ করে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছিলেন। আর্থিক সমস্যার কারনে গত ১৪ জানুয়ারীতে ১.৫৫ শতাংশ জমি মানিক মিয়ার কাছে বিক্রি করেন। এ জমি বিক্রির পর থেকে ভাই আবু মিয়া, রাজ্জাক মিয়া, এছেক মিয়া, তারু মিয়া, এবং ভাইদের ছেলে অর্থাৎ ভাতিজা জনি(৩৫), তুহিন (২৮), মমিন(২৫) সহ আরও অজ্ঞাত নামা লোকদের নিয়ে কিছু দিন আগে ১৭ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেন।
রবিউল টাকা দিতে অস্বীকার করায় আবু মিয়া সঙ্গীদের নিয়ে অবৈধভাবে বিক্রয়কৃত জমির ৩ টি দোকান ও ভাড়াটিয়া রুমে তালা মেরে দেয়। রবিউল তালা লাগানোর কারণ জানতে চাইলে ৩১ জানুয়ারী রবিউলকে মারধর করে জখম করে ফেলে। ঘটনার বিষয়ে রবিউলের স্ত্রী মাকসুদা বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। যার তদন্ত দেয়া হয় এস আই বেলায়েত হোসেনকে। এ ঘটনার কোন তদন্ত শেষ না হতেই ১১ ফেব্রুয়ারী রোববার সকাল ১১ টায় রবিউলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা লাগিয়ে দেয়। এমন অভিযোগ তুলে ধরেন ভুক্তভোগী। রবিউল এখন ভাইদের ভয়ে স্ত্রী সন্তান নিয়ে শংকিত। অসহায় রবিউল এ বিষয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও স্হানীয় এলাকাবাসীর কাছে ন্যায় বিচার পেতে সহযোগিতা কামনা করেছেন।